Category: পাঁচমিশালী

বর্ষপঞ্জি হয়ো

বিখ্যাত ইংরেজ কবি সমালোচক জন ড্রাইডেন প্রায় সারাক্ষণই পড়াশোনা আর সাহিত্যচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন; স্ত্রীর প্রতি খুব একটা মনোযোগ দিতেন না। একদিন স্ত্রী লেডি এলিজাবেথ তাঁর পড়ার ঘরে ঢুকে রেগে গিয়ে বললেন, ‘তুমি সারা দিন যেভাবে বইয়ের ওপর মুখ গুঁজে পড়ে থাকো তাতে মনে হয় তোমার স্ত্রী না হয়ে বই হলে বোধ হয় তোমার সান্নিধ্য একটু বেশি পেতাম।
ড্রাইডেন বইয়ের ওপর মুখে গুঁজে রেখেই বললেন, ‘সে ক্ষেত্রে বর্ষপঞ্জি হয়ো, বছর শেষে বদলে নিতে পারব!’

ATM মেশিনে বাচ্চা

কোর্টে ডিভোর্স কেসের মামলা চলছে। সমস্যা বাধলো ৫ বছরের বাচ্চা টাকে নিয়ে। এটা নিয়ে যখন কথা উঠলো তখন মা টা হঠাৎ দাঁড়িয়ে উঠে চিল্লিয়ে বলল ইয়র অনার…আমি বাচ্চাটাকে অমানুষিক পরিশ্রম আর কষ্ট সহ্য করে পৃথিবীতে এনেছি। বাচ্চা অবশ্যই আমার কাছে থাকবে। বিচারক বাবা টার দিকে তাকিয়ে বলল “আপনার কি কিছু বলার আছে??
বাবা টা কিছুক্ষণ বসে থাকলো……তারপর ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়িয়ে বলল ইয়োর অনার, আমি যদি আমার ATM কার্ডটা মেশিনে ঢুকিয়ে টাকা বের করে আনি, তাহলে টাকা টা কার? আমার? নাকি  ATM মেশিনের??

আমি গরীব মশা

মন্টু একদিন দুপুরে বসে আছে। হটাৎ একটা মশা এসে মন্টুকে কামড় দিলো।

মন্টু :- (রেগে গিয়ে) এখন দিনের বেলায়ও কামড় দিতে হবে?
মশা:- কি করমু সাহেব? গরীব মশা আমি। মা- বাবা হাসপাতালে ভর্তি। ঘরে বিয়ের উপযুক্ত বোন আছে। সেদিন তার বিয়ে ঠিক হইছে। ছেলে পক্ষ ১লিটার রক্ত যৌতুক দাবি করছে। তাই ওভারটাইম করতেছি।

বেগটা একটু বেশি পেয়েছিল

জনি গাড়ি নিয়ে মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিল। তার গাড়ির গতিসীমা তখন ঘণ্টায় ৬০ কিমির বেশি অতিক্রম করছে।
এমন সময় সে লক্ষ করল, পেছন থেকে একটা পুলিশের গাড়ি তাকে ধাওয়া করছে। জনি বুঝল, সে সর্বোচ্চ গতিসীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। এখন উপায়? গাড়ি থামালেই একগাদা টাকা জরিমানা গুনতে হবে। মনে মনে সে একটা বুদ্ধি আঁটল।
গাড়ির গতি না কমিয়ে সে আরও বাড়িয়ে দিল। পুলিশের গাড়িটাও তখন ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসছে।
হঠাৎ একটা পেট্রলপাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে গেল জনি। গাড়ি থেকে নেমে এক ছুটে ঢুকে গেল পেট্রলপাম্পের বাথরুমে।
পাঁচ মিনিট পর জনি যখন বের হলো, পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলেছে। জনি পেটে হাত বোলাতে বোলাতে বলল, ‘বুঝতেই পারছেন, বেগটা একটু বেশি পেয়েছিল!’

কমলা

এক বৃদ্ধা খুবই ভুলোমনা। একজন ডাক্তারের পরামর্শে বেশ কিছু ওষুধ খাওয়ার পর কিছুটা উন্নতি হলো তাঁর। একদিন সকালে কাজের মেয়েটাকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে বেরোলেন তিনি। পথে দেখা হলো এক প্রতিবেশীর সঙ্গে।
প্রতিবেশী: শুনলাম আপনার ভুলে যাওয়ার রোগ কিছুটা সেরেছে।
বৃদ্ধা: হ্যাঁ, এখন একটু চেষ্টা করলেই মনে করতে পারি।
প্রতিবেশী: তাই নাকি? তা যে ডাক্তার দেখালেন, ডাক্তারের নাম কী?
বৃদ্ধা মাথা চুলকালেন। বিড়বিড় করে বললেন, একটা ফল, লেবুর মতো… কী যেন নাম?
প্রতিবেশী: কমলা?
বৃদ্ধা: হ্যাঁ হ্যাঁ! মনে পড়েছে!
এবার কাজের মেয়েটার দিকে ফিরে বললেন বৃদ্ধা, হ্যাঁ রে কমলা, ডাক্তার বাবুর নাম যেন কী?