Tag: ওটা

ওটা মিসকল ছিল

মন্টু আর মলির মধ্যে ভীষণ প্রেম। দিনভর কথা বলতে বলতে মোবাইলটা তাদের কানের অংশ হয়ে উঠেছে। একদিন মন্টু বলল, ওগো শুনছ, শুনলাম মোবাইলে এত বেশি কথা বললে নাকি অসুখ- বিসুখ করতে পারে। চলো, আমরা এবার নতুন কিছু করি। পুরোনো দিনে ফিরে যাই। এখন থেকে আমরা চিঠি আদান- প্রদান করব। শুনে মলি বলল, হু। তা তো ভালোই বলেছ গো। কিন্তু চিঠি দেব কী করে? মন্টু: কেন? প্রাচীনকালের মতোই। কবুতরের পায়ে বেঁধে! ব্যস। পরদিন থেকে শুরু হলো চিঠি আদান- প্রদান। চিঠি আসে, চিঠি যায়। কবুতর বেচারার ত্রাহি ত্রাহি দশা! একসময় মলির কাছে উড়ে এল কবুতর, কিন্তু পায়ে কোনো চিঠি বাঁধা নেই। নিয়ম ভেঙে মন্টুকে ফোন করে বসল মলি, কী গো, কবুতরের পায়ে তো কিছু বাঁধা নেই। তুমি কিছু লেখোনি? মন্টু: আহ! বুঝলে না? ওটা মিসকল ছিল।

ওটা আর বাবা হতে পারবেনা

পাশাপাশি দুই দেশের দুই রাজার মাঝে তাদের সেনাপতিদের নিয়ে খুব অহংকার ছিল। উভয়েই দাবী করতো তাদের সেনাপতি খুব দক্ষ এবং বিচক্ষণ। তাই একবার দুই সেনাপতিকে একই মন্ঞ্চে এনে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। প্রথম সেনাপতি মন্চ্ঞে উঠে বাতাসে শাঁ শাঁ করে তলোয়ার চালিয়ে কসরৎ দেখাত লাগলো। এক পযা’য়ে শাঁ করে তলোয়ার চালিয়ে একটা উড়ন্ত
মাছিকে দু’ টুকরা করে ফেলে দিল।
সবাই হাত তালি দিয়ে বাহবা জানালো। এবার দ্বিতীয় সেনাপতি মন্চ এলো । বিভিন্ন কসরৎ দেখানোর পর সেও একটা উড়ন্ত মাছিকে দেখে শাঁ করে তলোয়ার চালালো কিন্ত মাছিটা তখনো উড়তেই লাগলো। এবার সবাই বলে উঠলো কি হলো মাছি তো এখনো উড়ছে। সেনাপতি হাসি মুখে গব’ ভরে বললো; উড়লে কি হবে খুব সূক্ষভাবে মাছিটার শরীরের এমন একটা অংশ কেটে দিয়েছি যে জীবনেও ওটা আর বাবা হতে পারবেনা।