Category: পাঁচমিশালী

কলা

রঞ্জু মিয়া বড়ই কৃপণ। একবার তিনি গেছেন কলা কিনতে।
রঞ্জু মিয়া: কি ভাই, এই ছোট্ট কলাটার দাম কত?
বিক্রেতা: তিন টাকা।
রঞ্জু মিয়া: দুই টাকায় দেবে কি না বলো?
বিক্রেতা: বলেন কি! কলার ছোকলার দামই তো দুই টাকা।
রঞ্জু মিয়া: এই নাও এক টাকা। ছোকলা রেখে আমাকে কলা দাও!

কানা

লোক- এই যে, তুমি যে ভিক্ষা চাইছো,
কিভাবে বুঝবো যে তুমি কানা?
ভিক্ষুক- এই যে দূরে একটা গরু দেখতাছেন,
ওইটা আমি দেখতাছি না।

বাইনোকুলার

ট্রেনের দুই সহযাত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে।
প্রথম যাত্রী: আপনি একটি বাইনোকুলার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন। অথচ একবারও দেখলাম না, আপনি বাইনোকুলার দিয়ে বাইরে দূরের কোনো দৃশ্য দেখছেন। তাহলে সঙ্গে এটা আনলেন কেন?
দ্বিতীয় যাত্রী: আহ্! এটা দূরের দৃশ্য দেখার জন্য আনিনি। ছুটি কাটাতে যার বাড়ি যাচ্ছি, তাকে দেখার জন্য এনেছি।
প্রথম যাত্রী: কেন?
দ্বিতীয় যাত্রী: কারণ, তিনি আমার দূরসম্পর্কের আত্মীয় !

জ্যাম-জেলি

গাড়ির ভিড়ে রাস্তা আটকে যাওয়াকে কী বলে?
: জ্যাম।
আর রাস্তা পরিষ্কার থাকলে?
: অ্যা…ইয়ে…বোধ হয় জেলি।

থিউরি অফ রিলেটিভিটি

আইনস্টাইনের ‘থিউরি অফ রিলেটিভিটি’ অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানীই শুধু বুঝতে পেরেছিলেন।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আবিষ্কারের ফলেই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বস্তরে পৌঁছে যায়।
এক চুরুট কোম্পানি তো তাদের চুরুটের নামই রেখে ফেলে রিলেটিভিটি চুরুট।
এ সময় আমেরিকা ভ্রমণের আমন্ত্রণ পেয়ে সস্ত্রীক রওনা হন তিনি।
জাহাজ থেকে নামার মুহুর্তেই সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন।একজন একেক রকম প্রশ্ন করতে থাকেন।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসেন,আচ্ছা বলুন তো মেয়েরা আপনাকে এত পছন্দ করে কেন?

আইনস্টাইন মৃদু হেসে উত্তর দেন,আপনি জানেন কি না জানি না,মেয়েরা সবসময় লেটেস্ট ফ্যাশন পছন্দ করে,আর এ বছরের ফ্যাশন হল ‘থিউরি অফ রিলেটিভিটি’,আমাকেও ওটার অংশ হতে হয়েছে কি না!