Category: পাঁচমিশালী

নিশ্চিত হোন

দুই বন্ধু বন্দুক হাতে বনে গেলো শিকার করতে। হঠাৎ করে একটি গাছ ভেঙ্গে এক বন্ধুর উপরে পড়ল। অপর বন্ধু কি করবে বুঝতে না পেরে হাসপাতালে ফোন দিল। ডাক্তারকে বললো, আমার বন্ধু মনে হয় মারা গেছে এখন আমি কি করতে পারি?

ডাক্তার রোগীর অবস্থা বুঝবার চেষ্টা করলেন এবং বললেনঃ আপনি শান্ত হোন। আপনি আগে নিশ্চিত হোন যে সে মারা গেছে কিনা?

বন্ধুটি কিছুক্ষণ চিন্তা করল এবং কি করবে বুঝতে না পেরে হঠাৎ তার বন্দুক দিয়ে বন্ধুকে একটি গুলি করল এবং ডাক্তারকে বলল, এবার আমি নিশ্চিত সে মৃত, এখন বলুন কি করতে হবে?

চুলকানি

দুয়ারে নতুন বছর। ভাগ্যের হালচালটা জেনে নিতে হাবলু হানা দিল এক জ্যোতিষবাবার আস্তানায়। বলল, ‘বাবা, কদিন হলো ডান হাতটা খুব চুলকাচ্ছে। কিসের লক্ষণ বলুন তো?’
জ্যোতিষবাবা: হুম্! তোর ওপর মঙ্গলের প্রভাব রয়েছে। আসছে বছর তোর হাতে প্রচুর টাকা আসবে।
হাবলু: বাবা, আমার বাঁ হাতের তালুও চুলকায়।
জ্যোতিষবাবা: বলিস কী? তোর তো বিদেশযাত্রা শুভ!
হাবলু: (খুশিতে গদগদ হয়ে) বাবা, আমার ডান পা’টাও কিন্তু একটু একটু চুলকাচ্ছে।
জ্যোতিষবাবা: দূর ব্যাটা, তোর চুলকানি আছে। ডাক্তার দেখা।

মুরগি

মাথায় খাঁচাভর্তি মুরগি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল চাষিপুত্র। এমন সময় খাঁচাটা মাথা থেকে পড়ে ভেঙে গেল, মুরগিগুলোও ছাড়া পেয়ে সব এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করল। বহু কষ্টে সবগুলো মুরগি ধরে খাঁচার ভেতরে ঢুকাল চাষিপুত্র। ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরল। চাষি বললেন, ‘কী রে, ফিরে এলি কেন?’
চাষিপুত্র: ইয়ে মানে, আব্বা, যাওয়ার পথে খাঁচাটা ভেঙে মুরগিগুলো বেরিয়ে গিয়েছিল। অবশ্য আমি ১১টা মুরগিই ধরে ফেলেছি, কোনোটাই পালাতে পারেনি।
চাষি: শাবাশ ব্যাটা! তুই সাতটা মুরগি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলি!

৫০০ বছর ধরে বোতলের মধ্যে

অল্পবয়সী একটি ছে
নির্জন
একটি রাস্তা দিয়ে হে
যেতে যেতে পথের
ধারে একটি খালি বোত
পরে থাকতে দেখল।
তারপর
যা করে অল্পবয়সীরা,
বোতলে মারলএক
লাথি।
‘হু হু হা হা হা’,
বিকাটাকৃতিএক
জ্বীন
বেরিয়েএসে বলল,
“আমি জ্বীন
৫০০ বছর
ধরে এই বোতলের
মধ্যে আছি, বল
তোর
কি চাই?”
ছেলেটি প্রথমে ঘাবরে গেলে
কথা শুনে তো ভীষণ
খুশী।
ভাবল,
এইতো আমারকপালখুল
এখন
তো যা চাইব, তা-ই পাব।
একটু
ভেবে ছেলেটিবলল, ”
কি চাই?
গুলশানে একটা বাড়ী চ
জ্বীন বলল,
“গুলশানে একটা বাড়ী?
হু হু
হা হা হা”। তার পরপরই
সজোরে একটি চড়
কষিয়ে দিল
ছেলেটির
গালে।
ছেলেটি তো হতবাক,
“চড়
মারলেন কেন?”
জ্বীন বলে,
“ব্যাটা গর্দভ,
গুলশানে একটা বাড়ীই
যদি করতে পারতাম,
তবে কি ৫০০ বছর
ধরে বোতলের
মধ্যে থাকতাম?

হাতিকে পেটানো

এক
পিঁপড়ে হাসিমুখে লাফাতে লাফাতে আসছে দেখে অন্য
এক পিঁপড়ে তাকে জিজ্ঞেস করল:
‘এত খুশি যে! ব্যাপার কী?’
‘আর বোলো না! সব জন্তু মিলে এক
হাতিকে বেদম পেটাচ্ছে।
মওকা পেয়ে আমিওদুই
ঘা লাগিয়ে দিয়েছি।’
পরদিন সেই একই পিঁপড়েকে গম্ভীর
মুখে আসতে দেখে অন্য
পিঁপড়াটি জানতে চাইল:
‘কী ব্যাপার ভায়া, মুখটা গম্ভীর যে!’
‘এক হাতিকে পেটানোর
কথা বলেছিলাম কাল, মনে আছে?
তো হাতিটা মরে গেছে। হত্যার
দায় চাপানো হয়েছে আমার ওপরে।’