হাসুন প্রান ভরে!

Most commented posts

  1. শরীরের বর্ণনা — 116 comments
  2. প্রথমে চুমু দিন — 63 comments
  3. আমার নিচে ও ছিল — 58 comments
  4. দুধ খাই না — 54 comments
  5. এক বউ দুই স্বামী — 42 comments

Author's posts

আউট

:: আউট! ::

ঘটক একগাল হেসে বলল, ‘স্যার, ছেলের যেমন হাইট, তেমনি ফাইট করার মতো স্বাস্থ্য!’
হাসান সাহেব জায়গায় বসেই লাফিয়ে উঠলেন, ‘মানে? ফাইট করার মতো শরীর-স্বাস্থ্যের ছেলে দিয়ে কী হবে? সংসারে মারামারি করার জন্য জামাই খুঁজছি নাকি?’
‘স্যার, আমি আসলে তা বোঝাতে চাইনি। যা দিনকাল পড়েছে! পরিবারের কর্তারা যদি সন্ত্রাসীদের কাবু করতে না পারে, তাহলে ঘরের ভেতরের নিরাপত্তা দেবে কে?’
হাসান সাহেব দুচোখে ঘটক দেখতে পারেন না। কিন্তু এই ঘটকের কেস আলাদা। খুব গুছিয়ে কথা বলে। যদিও বাস্তবজীবনে এ ধরনের মানুষ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকাই উত্তম। কারণ, তারা অঘটনও ঘটায় গুছিয়ে; তবে এই ঘটক অঘটনঘটনপটিয়সী নয় বলেই হাসান সাহেবের মনে হয়েছে। যাহোক, তিনি আলোচনাকে আবার লাইনে নিয়ে এলেন, ‘ছেলে কী করে?’
‘খেলে।’
‘খেলে! গুড। খেলোয়াড় ছেলে আমার পছন্দ। আমি নিজেও একসময় খেলোয়াড় হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যে ছিল না, আফসোস! তা ছেলে খেলাধুলায় কেমন?’
‘পারফরম্যান্স ভালো। মাঠে থাকলে তো পিচে একেবারে আগুন ধরিয়ে দেয়! কথায় আছে না, “যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে”? ছেলের লক্ষ্যই বাউন্ডারি।’
‘বেশ ভালো খেলোয়াড় মনে হচ্ছে!’
‘জি। ছেলে আজ পর্যন্ত একবারও রান আউট হয়নি!’
‘বাহ্! ছেলের র‌্যাংকিং কেমন?’
‘র‌্যাংকিং নিয়ে টেনশন করবেন না। নাম্বার ওয়ান হওয়া তার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র!’
‘তাহলে তো নামডাকও আছে!’
‘শীর্ষদের তালিকায় নাম পাবেন।’
‘কী বলো! দারুণ! তবে ছেলে আবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত না তো?’
‘না, না। ছেলে খুবই নীতিমান। নিজের দলের জন্য জান পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত।’
‘বেশ, বেশ! কিন্তু নীতিমানদের সব সময়ই তো টাকাপয়সার অভাব থাকে। সে ঠিকমতো সংসার চালাতে পারবে তো?’
‘সেই চিন্তা করবেন না। ছেলের ইনকাম ব্যাপক। প্রতি খেলায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা!’
‘তোমার কথা শুনে মনটাই ভরে গেল। ছেলে এত বড় ক্রিকেটার ভাবতেই ভালো লাগছে!’
‘ছেলে ক্রিকেটার কে বলল? ছেলে তো পিকেটার।’
‘তার মানে! তুমি যে বললে, ছেলে মাঠে শুধু বাউন্ডারি হাঁকায়। এত বড় খেলোয়াড় যে আজ পর্যন্ত রানআউট হয়নি?’
‘জি, ঠিকই বলেছি, স্যার। দলীয় কর্মসূচির দিন ছেলে যখন ফিল্ডে থাকে, তখন পিচের রাস্তার ওপর টায়ারে আগুন জ্বালানো তার দায়িত্ব। বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশই তার ইট-পাটকেলের টার্গেট। তা ছাড়া দাবড়ানি দিয়েও পুলিশ আজ পর্যন্ত এই ছেলেকে ধরতে পারেনি। কারণ, ছোটবেলা থেকেই তার সঙ্গে দৌড়ে কেউ পারে না; রানআউট হওয়ার মতো ছেলেই সে না! ছেলে বাস পোড়ালে পায় ১৫ হাজার টাকা আর ভাঙচুর করলে পায় পাঁচ হাজার টাকা। বুঝতেই পারছেন, কী পরিমাণ ইনকাম! তবে ছেলের নীতি ভালো। দলবদল করে না; সব সময়ই বিরোধী দলের হয়ে কাজ করে! দেশে যখন অধিকাংশ বেকারের কর্মসংস্থানেরই ব্যবস্থা নেই; তখন নিয়মিত ওয়ান-ডে আর টেস্ট হরতালে এই ছেলের ইনকাম নিয়ে কোনো টেনশনই নেই। সোনার টুকরা ছেলেদের দিয়েও যা সম্ভব নয়, এই ছেলেকে দিয়ে তা-ই সম্ভব! এমন ইটের টুকরা ছেলে ঘরে থাকা মানে ঘরও নিরাপদ!’
হাসান সাহেব রাগে সাউন্ড গ্রেনেডের মতো ফেটে পড়লেন। চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘আউট! আউট!’

SMS

গার্লফ্রেন্ডের পরপর ২ SMS-এ বয়ফ্রেন্ডের পরপর ২ বার HEART ATTACK!!!
প্রথম SMS:
“চলো আমাদের রিলেশন ভেঙ্গে দেই। আমি তোমার প্রতি মন থেকে আগের মত আর FEELINGS পাচ্ছি না!”
দ্বিতীয় SMS:
“সরি! সরি!!
আগের sms টা তোমার জন্য ছিল না!!”

হেডলাইট

দুই ড্রাইভার আড্ডা দিচ্ছে—
কি রে, শুনলাম তোর নাকি চাকরি যায় যায় অবস্থা! আজকেও দেখি গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিস! বসরে ক্যামনে হাত করলি?
হে হে, ঘটনা আছে! চাকরি যাওনের কথা শুইনাই ইচ্ছা কইরা দামি গাড়িটার একটা হেডলাইট দিছিলাম ভাইঙ্গা!
তারপর?
তারপর আর কী! বস কইল আগামী ছয় মাসে হেডলাইট ভাঙা বাবদ যত খরচ পড়ে তত টাকা আমার বেতন থেইকা কাইটা রাখব। তাতে কী, ছয় মাসের জন্য তো চাকরিটা একদম পাক্কা!

লাল মিয়া বনাম সোনা মিয়া

লাল মিয়ার ইচ্ছা হলো বিদেশ ঘুরিতে যাইবে। অতএব লাল মিয়া তরিগরি করিয়া পাসপোর্ট করিতে দিলেন। কিছুদিন পর পাসপোর্ট হাতে পাইয়া লাল মিয়ার মাথা খারাপ। তার নামের জায়গায় লাল মিয়ার স্থলে সোনা মিয়া লিখা হইয়াছে। সে পাসপোর্ট অফিসে গিয়া বলিল, হুজুর আমার নাম ভুল হইয়াছে , ঠিক করিয়া দিন? হুজুর বলিল, এইভাবে হইবে না তোমাকে দরখাস্ত লিখে আবেদন করিতে হইবে। অতঃপর লাল মিয়া দরখাস্ত লিখিল।

জনাব,

আমি লাল মিয়া। আমার নাম ভুলবসত লালের পরিবর্তে সোনা হইয়া গিয়াছে। অতএব, হুজুরের নিকট আকুল আবেদন, আমার পাসপোর্ট এ সোনা কাটিয়া লাল করা হোক।

 

টিকেট

ট্রেনের টিকেটের জন্য গিয়ে দেখি টিকেট কাউন্টারের সামনে বিরাট বড় লাইন। কোনো টিকেট পাওয়া যাচ্ছেনা। এমন সময় এক লোক লাইন থেকে বেরিয়ে এসে বলল, শালা, এই ষ্টেশন মাষ্টারকে আমি খুন করব।এই বলে চলে গেলেন এবং তার
একটু পরেই তিনি ফিরে এলেন।

:কি ভাই, খুন করতে পারলেন?

:না ভাই।

:কেন?

:ওখানে এর চেয়েও বড় লাইন