Tag: bangla jokes

টিয়াপাখি এয়ারহোস্টেস

এক লোক বিমানে চড়ে দেখে তার পাশের সিটে যাত্রী হিসেবে এক টিয়াপাখি ।
শুধু তাই না…সেই টিয়াপাখি এয়ারহোস্টেস’কে ইচ্ছামতো বকা- বাদ্যি করে চলেছে-
অ্যাই ছাগলি, কফি আনতে অ্যাতো দেরী লাগে ?অ্যাই গাধী, লাঞ্চ আনতে অ্যাতো দেরী লাগে, ইত্যাদি ইত্যাদি ।
লোকটা দেখলো এয়ারহোস্টেস টিয়াপাখিকে নিয়ে অ্যাতো ব্যস্ত যে, তার কোনো অর্ডার নিচ্ছে না ।
সে ভাবলো টিয়ার মতো বকা দিলে মনে হয় কাজ হবে।
সে গলা চড়িয়ে বললো-“ অ্যাই বুদ্ধু মেয়ে, অরেঞ্জ জুস আনতে অ্যাতো দেরী লাগে ?”
এ কথা শুনে এয়ারহোস্টেস আর সহ্য করতে পারলো না…গিয়ে পাইলটের কাছে নালিশ করে দিলো ।
পাইলটএসে লোকটা আর টিয়াপাখি দু’জনকেই সোজা বাইরে ফেলে দিলো বিমানের দরজা খুলে ।
মেঘ ভেদ করে তীব্রবেগে মাটির দিকে পড়তে থাকা লোকটাকে তখন টিয়াপাখি’টা গম্ভীরমুখে বললো-“উড়তে পারে না যে, তার অ্যাতো রিস্ক নেওয়া কি উচিৎ হয়েছে?”

মাছির স্যুপ

চায়না বেড়াতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে এক পর্যটক দেখলো মেন্যু সব চাইনিজ ভাষায় লেখা ।
আবার না বুঝে শুয়োর-সাপ-ব্যাঙ ইত্যাদি খাওয়া হয়ে যায় কিনা সে ভয়ে লোকটা মেইন কোর্স বাদ দিয়ে শুধু স্যুপের অর্ডার দিলো ।কিন্তু স্যুপ আসার পর দেখে তাতে মাছি পড়েছে । একেই প্রচন্ড খিদায় সামান্য স্যুপ, তাতেও মাছি পড়েছে…ভয়ানক রেগে লোকটা চিল্লাচিল্লি শুরু করলো ।
রেস্টুরেন্টের একমাত্র ইংরেজি জানা মানুষ ম্যানেজার দৌড়ে এলো । বললো-“কী সমস্যা স্যার?”
লোক-“আমার স্যুপে মাছি ভাসছে তিন তিনটা ।”
ম্যানেজার মেন্যু চেক করে ওয়েটারকে ধমক দিয়ে বললো-

“মাছির স্যুপে কেউ অ্যাতো কম মাছি দেয়?”

পেন্টের চেই খোলা

একদিন সুন্দর বিকেলে ধানমন্ডি লেকের পাড় দিয়ে হেটে যাচ্ছিল বল্টু।
বিপরীত দিক থেকে এক সুন্দরী বল্টুর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বল্টুকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো দেখলে’তো ভদ্র ছেলে বলেই মনে হয়, পেন্টের চেইন খোলা রেখে রাস্তায় বেরিয়েছেন কেন ?
বল্টু আচমকা পেছনে ফিরে বলে উঠলো : Excuse me! আপনাকে দেখেতো আমার মোটেই ভদ্র মনে হচ্ছে না|রাস্তাঘাটে সুদর্শন বালক দেখলেই পেন্টের চেইন বরাবর তাকিয়ে থাকেন কেন ?

ব্যাংকের দরকার

স্টিভ জবস ও বিল গেটসের মধ্যে কথা হচ্ছিল।
বিল গেটস: গতকাল একটু ব্যাংকে গিয়েছিলাম।
স্টিভ জবস: কেন?
বিল গেটস: একটা লোনের ব্যাপারে কথা বলতে।
স্টিভ জবস: তাই নাকি? তা কত টাকা লোন দরকার তোমার।
বিল গেটস: আমার না। ব্যাংকের দরকার!

মাথা নষ্ট

এক লোক বাজারে গেছে মুরগী কিনতে।
সে মুরগিওয়ালাকে বলল একটা রাজশাহীর মুরগী দেও। মুরগিওয়ালা একটা মুরগি দিয়া বলল এই নেন রাজশাহীর মুরগি।
লোকটা মুরগীর পাছা দেখে কইলো। অই মিয়া এইডা তো রাজশাহীর মুরগী না। এটা যশোর এর মুরগী।
মুরগিওয়ালা অনেক খুজে আরেকটা মুরগি দিয়া কইলো এই নেন রাজশাহীর মুরগি।
লোকটা আবার মুরগীর পাছা দেখে কইলো, ধুর মিয়া এইডাও তো রাজশাহীর মুরগি না। এটা ফরিদপুরের এর মুরগী।
মুরগিওয়ালা এবার অনেক ক্ষন খুজে আরেকটা মুরগি দিয়া কইলো এই নেন এইটাতো রাজশাহীর মুরগি হইবোই।
লোকটা এবার রাইগা কইলো। কি মিয়া? কি ব্যবসা কর একটা মুরগিও চিনো না। তোমার বাড়ি কই?
এইবার মুরগিওয়ালা পিছন ফিরে লুঙ্গি উপরে তুইলা কইলো আপনেই দেইখা কয়া দেন আমার বাড়ী কই ?