Tag: bangla jokes

রাজার মেজাজ খারাপ

রাজার মেজাজ খারাপ।রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জা সামনে পড়ে গেলেন।
শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জার সামনে পড়ে যাওয়াটা আমার ভাগ্যের জন্য খারাপ, প্রহরীদের রাগত গলায় বললেন রাজা।আমার দিকে ওকে তাকাতে দিয়ো না-চাবুকপেটা করে ওকে পথ থেকে সরিয়ে দাও।
প্রহরীরা তা-ই করল।
শিকার কিন্তু ভালোই হলো।
রাজা হোজ্জাকে ডেকে পাঠালেন।
আমি সত্যি দুঃখিত, হোজ্জা।ভেবেছিলাম তুমি অশুভ।কিন্তু তুমি তা নও।
আপনি ভেবেছিলেন আমি অশুভ!হোজ্জা বললেন।আপনি আমাকে দেখার পর ভালো শিকার করেছেন।আর আমি আপনাকে দেখে চাবুকপেটা খেয়েছি।কে যে কার অশুভ, বুঝলাম না।

হোজ্জা অসুস্থ

একবার নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অসুস্থ।নিজের গাধাটাকে খাওয়ানোর জন্য বিবিকে বললেন।হোজ্জার বিবি একটু ত্যাদড় টাইপের।সে গাধা কে খাবার দিতে অস্বীকার করল।দুজনের মধ্যে এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া।তারপর একটা সমঝোতা হল, যে আগে কথা বলবে সে গাধাকে খাওয়াবে।হোজ্জা বাজিতে জেতার ব্যপারে ডিটারমাইন্ড ছিল।
সেইদিনই, হোজ্জার বিবি বাইরে গেছে, খালি বাসা দেখে একটা চোর ঘরে ঢুকল।হোজ্জা বাসায় ছিল, কিন্তু বাজিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে চোরকে কিছু বলল না।চোর নির্বিঘ্নে ঘরের সব কিছু নিয়ে চলে গেল।হোজ্জার স্ত্রী বাসায় ফিরে এসে যখন দেখল সব কিছু খালি, চিৎকার দিয়ে বলল, হায় আল্লা! কি হইছে?
হোজ্জা খুশিতে লাফিয়ে উঠল, আমি জিতছি বাজিতে, এখন তোমারেই গাধাকে খাওয়ান লাগবে।

ড্রাইভার চাই

ড্রাইভার চাই’ এই মর্মে কাগজে বিজ্ঞাপণ দিলেন এক ভদ্রলোক। চাকরিপ্রার্থীরা এল। ভদ্রলোক প্রথম প্রার্থীকে প্রশ্ন করলেন, একটা গর্তের কতটা কাছ দিয়ে তুমি গাড়ি চালাতে পারবে?
– ত্রিশ সেন্টিমিটার।
অন্যান্য প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন। উত্তরে ত্রিশ থেকে আট সেন্টিমিটার অবধি প্রার্থীরা নামল। কেবল একজন জানাল যে, সে চেষ্টা করবে অন্তত ফুট দুয়েক দূর থেকে চালাবার।
ভদ্রলোক বললেন, এতক্ষণে ঠিক লোকটি পাওয়া গেল।

অন্যদের কাজকর্ম

সদ্য চাকরি খেয়েছে এক যুবক। বন্ধুর বাড়িতে এসে সে তার দুঃখের কথা জানাচ্ছিল।
– ফোরম্যান তোমাকে বরখাস্ত করল কেন?
– তুমি তো জান, ফোরম্যানরা কী হয়। নিজেরা কাজ না করে দু’ পকেটে হাত ঢুকিয়ে অন্যদের কাজকর্ম তদারকি করে।
– তা জানি। কিন্তু তিনি তোমাকে তাড়ালেন কেন?
– আর কেন, ঈর্ষায়। আসলে সব কর্মী আমাকেই ফোরম্যান ভেবে বসেছিল।

দুই বন্ধু

দোকানে গেল দুই বন্ধু। কিছুক্ষণ পর দোকান থেকে বের হয়ে একজন আরেকজনকে বলল– “দেখ আমি দোকান থেকে তিনটা চকোলেট বার মেরে দিয়েছি! আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে ধূর্ত ব্যক্তি!”
অন্যজন বলল–“আমার চালাকি দেখবি?”
–“হ্যাঁ।”
–“চল তাহলে।”
তারা আবার দোকানে ফিরে গেল। দোকানদারকে অন্য বন্ধুটা বলল– “ম্যাজিক দেখবে ভাই???”
দোকানদার বললো–“হ্যাঁ ।”
তখন বন্ধুটা পরপর তিনটা চকোলেট বার চেয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলল।
দোকানদার বলল–“ম্যাজিক কই?”
–“আমার বন্ধুর পকেটে হাত দাও…চকোলেট বার তিনটা ঐখানে আছে।”