Tag: bangla jokes

বাইনোকুলার

ট্রেনের দুই সহযাত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে।
প্রথম যাত্রী: আপনি একটি বাইনোকুলার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন। অথচ একবারও দেখলাম না, আপনি বাইনোকুলার দিয়ে বাইরে দূরের কোনো দৃশ্য দেখছেন। তাহলে সঙ্গে এটা আনলেন কেন?
দ্বিতীয় যাত্রী: আহ্! এটা দূরের দৃশ্য দেখার জন্য আনিনি। ছুটি কাটাতে যার বাড়ি যাচ্ছি, তাকে দেখার জন্য এনেছি।
প্রথম যাত্রী: কেন?
দ্বিতীয় যাত্রী: কারণ, তিনি আমার দূরসম্পর্কের আত্মীয় !

জ্যাম-জেলি

গাড়ির ভিড়ে রাস্তা আটকে যাওয়াকে কী বলে?
: জ্যাম।
আর রাস্তা পরিষ্কার থাকলে?
: অ্যা…ইয়ে…বোধ হয় জেলি।

থিউরি অফ রিলেটিভিটি

আইনস্টাইনের ‘থিউরি অফ রিলেটিভিটি’ অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানীই শুধু বুঝতে পেরেছিলেন।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আবিষ্কারের ফলেই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বস্তরে পৌঁছে যায়।
এক চুরুট কোম্পানি তো তাদের চুরুটের নামই রেখে ফেলে রিলেটিভিটি চুরুট।
এ সময় আমেরিকা ভ্রমণের আমন্ত্রণ পেয়ে সস্ত্রীক রওনা হন তিনি।
জাহাজ থেকে নামার মুহুর্তেই সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন।একজন একেক রকম প্রশ্ন করতে থাকেন।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসেন,আচ্ছা বলুন তো মেয়েরা আপনাকে এত পছন্দ করে কেন?

আইনস্টাইন মৃদু হেসে উত্তর দেন,আপনি জানেন কি না জানি না,মেয়েরা সবসময় লেটেস্ট ফ্যাশন পছন্দ করে,আর এ বছরের ফ্যাশন হল ‘থিউরি অফ রিলেটিভিটি’,আমাকেও ওটার অংশ হতে হয়েছে কি না!

বর্ষপঞ্জি হয়ো

বিখ্যাত ইংরেজ কবি সমালোচক জন ড্রাইডেন প্রায় সারাক্ষণই পড়াশোনা আর সাহিত্যচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন; স্ত্রীর প্রতি খুব একটা মনোযোগ দিতেন না। একদিন স্ত্রী লেডি এলিজাবেথ তাঁর পড়ার ঘরে ঢুকে রেগে গিয়ে বললেন, ‘তুমি সারা দিন যেভাবে বইয়ের ওপর মুখ গুঁজে পড়ে থাকো তাতে মনে হয় তোমার স্ত্রী না হয়ে বই হলে বোধ হয় তোমার সান্নিধ্য একটু বেশি পেতাম।
ড্রাইডেন বইয়ের ওপর মুখে গুঁজে রেখেই বললেন, ‘সে ক্ষেত্রে বর্ষপঞ্জি হয়ো, বছর শেষে বদলে নিতে পারব!’

স্বামী-স্ত্রীর আম জাম খাওয়া

এক দম্পতি রাতের ট্রেনে বেড়াতে যাচ্ছেন। ফার্স্টক্লাস বগি। দুতলা সিটের উপরের তলার টিকেট কেটেছেন। রাত দশটায় ট্রেন ছাড়ল। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তাদের সিটে উঠে বসলেন। নিচের সিটে আরেক ভদ্রলোক বসেছেন। রাত একটু গভীর হতেই সবাই নিজ নিজ সিটে শুয়ে পড়ল। দম্পতি শুয়ে শুয়ে গল্প করতে করতে এক সময় শারীরিকভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। স্ত্রী কাপড়-চোপড় খুলতে উদ্দত হলে স্বামী বাধা দিয়ে বললেন, ‌”না, তুমি আহ্, উহ্ শব্দ কর। এটা বাসা না; ট্রেন। আমরা কী করছি সবাই বুঝে ফেলবে।”
স্ত্রী আহত কণ্ঠে বলল “তাহলে? আজ আমাদের হবে না?” “হবে। যদি তুমি আহ্, উহ্ শব্দ না করে আম জাম বল তাহলে হবে। ট্রেনের কেউ সন্দেহ করবে না।”
“ঠিক আছে, তা-ই হবে।” দুজনেই গভীর রাত পর্যন্ত ফুর্তি করলেন। স্ত্রী আহ্, উহ্ না করে আম জাম বলে তার আনন্দ প্রকাশ করলেন। সকালে স্বামী ঘুম থেকে উঠে নিচে নেমে নিচের সিটের ভদ্রলোককে ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করলেন, “ভাই, রাতে ভাল ঘুম হয়েছে?” ভদ্রলোক হতাশ কণ্ঠে বললেন, “ভাই ঘুম ভাল হবে কীভাবে বলুন? আপনারা স্বামী-স্ত্রী সারা রাত আম জাম খেলেন আর সকল রস আমার উপর ফেললেন!”