হাইওয়ে

হাইওয়েতে একটি গাড়ি খুব ধীরগতিতে চলছে দেখে হাইওয়ে পুলিশ আটকালো । এভাবে চললে পিছনের গাড়ির ধাক্কা খেয়ে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ।
পুলিশ বললো-“আপনি মাত্র ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি কেন চালাচ্ছেন?”
লোক-“হাইওয়ের শুরুতেই গতিসীমা লেখা ছিলো ১৫ ।”
পুলিশ বললো-“ওটা গতিসীমা নয়, ওটা হাইওয়ের নাম্বার…অর্থাৎ এটা ১৫ নাম্বার হাইওয়ে ।”
লোক-“ওহ ! তাহলে তো ভুল হয়ে গেছে । আচ্ছা, এখন থেকে আমি স্বাভাবিক গতিতে চালাবো ।”
পুলিশ বললো-“আপনার গাড়ির পিছনের সিটে দু’জনকে দেখতে পাচ্ছি, তারা শূণ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…অল্প অল্প কাঁপছে…মনে হচ্ছে খুব শক্ পেয়েছে…কী ব্যাপার ?”
লোক-“না মানে…একটু আগে ৩১০ নাম্বার হাইওয়ে পার হয়ে আসলাম তো…”

(No title)

নতুন স্বামী স্ত্রী সিনেমা দেখতে গেছে। সিনেমা দেখছে আর হড়বড় করে কথা বলছে। এক দর্শক বিরক্ত হয়ে বলল, আরে ভাই, কী এত কথা বলছেন? কিছুই তো শুনতে পাচ্ছি না।
নতুন স্বামী বলল, স্বামী স্ত্রীর কথা আপনি শুনবেন কেন?

গুলিস্তানের পকেটমার

গুলিস্তানের পকেটমারদের সুনাম শুনে এক লোক গুলিস্তানে এল ব্যাপারটা দেখার জন্য। সে বুক পকেটে একটা একশ টাকার নোট নিয়ে সারা গুলিস্তান ঘুরে বেড়াতে লাগল। সারা দিন কেটে গেল কিন্তু কোন খবর নেই। পকেটের টাকা পকেটেই পড়ে রইল। সন্ধ্যায় একটা পানের দোকানে থেকে পান কিনতে কিনতে দোকানদারকে বলল, কই, গুলিস্তানের পকেটমাররা নাকি দেশের সেরা কিন্তু তার তো কোনো পরিচয় পেলাম না।
একটু দূরে দাঁড়ানো এক ছেলে তখন বলল, জাল নোট নিয়ে ঘুরে বেড়ালে কে তোমার পকেট মারবে?

ঠাট্টা হিসেবে চুরি

চোরঃ ইওর অনার, আমি চুরি করেছিলাম ঠিকই কিন্তু সেটা করেছিলাম এক ঠাট্টা হিসেবে।
বিচারকঃ কিন্তু তুমি তো চুরির জিনিস বিশ মাইল দূরে লুকিয়ে রেখেছিলে।
চোরঃ সেটাও ছিল এক ঠাট্টা।
বিচারকঃ তোমার জেল হল। এটাকেও একটা ঠাট্টা হিসেবেই নাও।

স্যার আর্থার এডিংটন

বিখ্যাত মহাকাশবিদ স্যার আর্থার এডিংটনকে প্রশ্ন করল এক উৎসাহী ছাত্র।
– স্যার, শুনেছি পৃথিবীতে মাত্র তিনজনই নাকি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের তত্ত্বটা বোঝেন, আর আপনি নাকি সেই তিনজনের একজন?
এডিংটন চুপ করে রইলেন।
– মাফ করবেন, আপনার মত বিনয়ী মানুষ এ ধরনের প্রশ্নে বিব্রত বোধ করবেন এটা আমার বোঝা উচিৎ ছিল।
– ঠিক তা নয়, আমি ভাবছি তৃতীয় লোকটি কে হতে পারে?