Category: পাঁচমিশালী

অমন কথা বলে

ম্যানেজার তার নতুন সেক্রেটারীকে বললো , আমি এখন এক জরুরী মিটিং -এ ব্যস্ত থাকবো । কোন ফোন এলে পরে করতে বলবে ।
সেক্রেটারীঃ জরূরী কথা থাকলে?
ম্যানেজারঃ যে কথাই হোক তুমি স্রেফ না বলে দেবে। বলবে অমন কথা সবাই বলে । যা হোক আমি এখন কথা বলতে চাই না । হ্যাঁ মনে থাকে যেন । বলবে অমন কথা সবাই বলে।

ম্যানেজার যেতেই সেক্রেটারী ফোন রিসিভ করতে লাগলো এবং না করে দিলো কিন্তু ওপাশের মহিলা জরুরী ভীষন জরুরী কথা ইত্যাদি বলে কিন্তু সেক্রেটারীকে গলাতে না পেরে বলেই ফেললো আমি তার স্ত্রী কথা বলছি …সেক্রেটারী অধৈয কন্ঠে বললো অমন কথা বলে…

নিজেই মাঝে মাঝে ভুলে যাই

অফিসের জনৈক কর্তা ব্যক্তি তার টেবিলের নেম -প্লেটের লেখা নিজের দিকে ফিরিয়ে রাখেন । এ সর্ম্পকে তিনি বলেনঃ যারা অফিসে আমার সাথে দেখা করতে আসে তারা জানে আমি কে ? কিন্তু আমি নিজেই মাঝে মাঝে ভুলে যাই।

এক্ষুনি বরখস্ত করব

কেরানীঃ ম্যানেজাকে বলল আমি এত দিন ধরে তিনজন লোকের কাজ এক জনে করেছি । আমার মাইনে বাড়াতে হবে ।
ম্যানেজারঃ মাইনে এখন বাড়ানো অসম্ভব। কিন্তু তুমি বাকি দুজনের নাম বল তাদের এক্ষুনি বরখস্ত করব।

এর একটু হলেই ধরা পড়তাম।

কোন এক অপিসের এক পাঞ্জাবী কেরানী সদা- সর্বদাই মালিকের ভয়ে তটস্ত হয়ে থাকত। । একদিন সে তার সহকমীকে বললে , ভাই আজ শরীরটা বড় খারাপ লাগছে বোধ হয় অসুখ করছে । তার সহকর্মী বলে বাড়ী গিয়ে শুয়ে পড়ো গে । ও বাবা তা পারব না । কেন?

মালিক দেখে ফেললে বরখাস্ত করবে ।বোকামি কোর না । মালিক তো আজ আসেইনায়। শেষ পর্যন্ত সহকর্মীর কথা বিশ্বাস করে । বাড়ি ফিরে জানাল উকি দিয়ে দেখে যে আফিসের মালিক তার স্ত্রীর সাথে হাসি মসকরায় মগ্ন। এক ছুটে সে ফিরে এসে তিরস্কার করে বলে তুমিতো খুব হৈতেষী বন্ধু দেখছি । তোমার কথা শুনে বাড়ি ঢুকলে হয়েছিলো আর কি । এর একটু হলেই ধরা পড়তাম।

নট দি পয়েন্ট

বড়বাবুঃ আলম কাল যে তোমাকে বলেছিলাম ফাইলটা দিতে , দাওনি কেন?
আলমঃ স্যার আলমারীর চাবিটা যে আপনার কাছে ছিল।
বড়বাবুঃ তা থাক দ্যাটস নট দি পয়েন্ট তুমি ফাইলটা দাওনি কেন?