Category: পাঁচমিশালী

জয় বাংলা সোনার বাংলা

এক সুন্দরী আপু রিকশায় করে যাচ্ছে এমন সময় আপে রিকশাওয়ালার ছেড়া লুঙ্গী দেখে বললো, মামা আপনার তো জয় বাংলা দেখা যাচ্ছে লুঙ্গীটা ঘুরাইয়া পরেন’
রিকশাওয়ালা :এহন তো জয় বাংলা দেহা যাইতাছে ঘুরাইয়া পরলে সোনার বাংলাও দেহা যাইবো ‘

দাদীমার গল্প

কোর্ট এ একটা কেস চলতেছে। সাক্ষী এর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছেন এক দাদীমা। তার বয়স অনেক, সাদা চুল, মুখে ফলসে দাঁত, হাই পাওয়ার চশমা। যাই হোক, বাদী পক্ষের উকিল এগিয়ে এলেন দাদিমার দিকে।

উকিলঃ আচ্ছা দাদীমা, আপনি আমারে চেনেন?

দাদীমাঃ চিনি না মানে? বিলক্ষণ চিনি। তোমারে তো আমি লেংটা হইয়া ঘুরে বেরাইতে দেখছি। কিন্তু মোতালেব, তুমি তো জীবনে কিছু করবার পারলা না। তুমি মিছা কথা কও। তোমার সুন্দরী বউ থাকতে অন্য মাইয়ার পিছনে ঘুর ঘুর কর। লোকেরে উল্টা বুঝাও, সবাইরে ঠকাও, আর পিছনে লোকের বদনাম কর । তুমি মনে কর তুমি নিজেরে মনে কর রাঘব বোয়াল ! আসলে তুমি একটা পুঁটি মাছও না ! আমি তোমারে অবশ্যই চিনি

উকিল এই শুইন্যা পুরা ঘাবড়ায় গেলেন। গোটা কোর্টের লোকজনও একদম হা হইয়া গেছে। কী করবে বুঝতে না পাইরা এইবার উকিল আসামি পক্ষের উকিলরে দেখায় বললেন,

উকিলঃ দাদীমা, আপনি কী ওরে চেনেন?

দাদীমাঃ আরে, আসলাম না? ওরে কেন চিনুম না। আমার যখন বিয়া হয় তখন ওই বেটা দুধের শিশু। ছোটবেলায় তো বেশ ভালই আছিল। বড় হইয়া হইল একটা অলস, অকর্মার ধারী। আবার শুনি রোজ রোজ মদ খাওয়া শুরু করছে। কারও সাথে ঠিকঠাক কথা কইবার পারে না। এই জেলার সবথিকা বাজে উকিল হইল ওই আসলাম।
ওঃ বলতে ভুইলা গেছিলাম, এ আবার তিনটা পরকীয়া প্রেম করছে। তার একটা তোমার বউ এর লগে।

এই কথা শুইন্যা আসলাম উকিল কোর্টের মধ্যে অজ্ঞান হয়া গেলেন। এইবার বিচারক বললেন,

বিচারকঃ “মোতালেব মিয়াঁ, আপনি সীট এ যায়া বসেন। আর যদি মুর্খের মত প্রশ্ন করছেন যে উনি আমারে চেনে কিনা, আপনারে আমি ফাঁসিতে ঝোলামু।

পাবলিক টয়লেট

একটা লোক পাবলিক টয়লেটে বসে ছিল।
হঠাৎ করে পাশের টয়লেট থেকে শব্দ
আসলো,
“মিয়া ভাই কেমন আছেন?”

লোকটি অবাক হয়ে বলল,” হ্যা আমি ভাল
আছি।

আবার শব্দ আসলো, “কি করছেন ভাই?”
সে চিন্তিত হয়ে উত্তর দিল, “এইতো ভাই
কমোড এ বসে আছি।”

পাশের টয়লেট থেকে আবার বলল,
“আমি কি আসতে পারি?”
লোকটি ঘাবড়ে গেল এবং বলল,
“না না না প্লিজ, আমি ব্যস্ত আছি”
আবার কন্ঠ শোনা গেল,
“আচ্ছা ভাই
আমি আপনাকে ৫ মিনিট পরে আবার ফোন
দিচ্ছি, কোন গাধা জানি আমার সব কথার
উত্তর দিয়া আমার
লগে ফাইজলামি করতাসে।

ফেসবুকিং

স্কুলপড়ুয়া ছেলেটা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখল, ‘ক্লাসরুমে বসে বসে ফেসবুকিং করছি। হা হা হা…কী মজা!’

সঙ্গে সঙ্গেই কমেন্ট লিখলেন শিক্ষক, ‘বেরিয়ে যাও।’
শিক্ষকের কমেন্টে লাইক দিয়ে ছেলেটির মা লিখলেন, ‘আজকে আসো বাসায়। এই অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তুমি আজ ঘর ঝাঁট দেবে, ঘর মুছবে এবং থালাবাসন ধুবে।’
মায়ের কমেন্টে লাইক দিল বাসার কাজের লোক!

নোয়াখালীর ভাষায় চিঠি

নোয়াখালীর ভাষায় লেখা এক স্ত্রীর চিঠি তার
স্বামীর নিকট…
ওগো হরানের স্বামী, আন্নে ভালা আছেন্নি?
আইতো বেশি ভালা না। হইর ঘাটে দি হড়ি কাইন্না আঙ্গুল ভাঙ্গি গেছে। টিয়া হইসা কিছু দেন না। চিন্তা দান্ধায় চুল বেগ্গুন উঠি গেছে। বেগ্গুনে দেইখলে বেলু কই বোলায়। বড় হোলার লুঙ্গি ছিরি গেছে। হিয্যায় অন স্কুলে যায় না। ছোড হোলা বল খেলতো যাই দাঁত ভাঙ্গি হালাইয়ছে। বড় মাইয়া ভালা ইকগা থ্রিপিসের লাই স্কুলে যায় না। ছোড মাইয়া হইরা বেডা দেখলে আব্বু আব্বু কইয়া বোলায়। আন্নে তাড়াতাড়ি বাড়ীত চলি আইয়েন। আন্নের মা কুত্তারে হিডি লাডি ভাঙ্গি হালাইছে আন্নে আইতে বিদাশী এক্কান লাডি আনিয়েন।