Category: পাঁচমিশালী

ভালো কাজ

পুত্র : বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি।

বাবা : কী কাজ?

পুত্র : পাশের বাড়ির মোটকা ভদ্রলোক আছেন না, রোজ অফিসে যেতে ট্রেন ফেল করেন, তাকে আজ ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি।

বাবা : তাই নাকি! কী করে?

পুত্র : প্রতিদিনের মতো তিনি হেলেদুলে হেঁটে চলছিলেন, লালুকে (বাঘা কুকুর) লেলিয়ে দিলাম তার পেছনে। ব্যস এমন ছোটা ছুটলেন।

মিসেস চৌধুরীর কাপড়!

মিস্টার এবং মিসেস চৌধুরী পার্টিতে গেলেন, বাসা সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে গেলেন কাজের ছেলে জুম্মনকে। পার্টিতে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে বিরক্ত হয়ে মিসেস চৌধুরী ফিরে এলেন, মিস্টার চৌধুরী রয়ে গেলেন সামাজিকতার খাতিরে।

বাসায় ফিরে এসে মিসেস চৌধুরী জুম্মনকে খুঁজে পেলেন ডাইনিং রুমে। তিনি খানিকক্ষণ উসখুস করে জুম্মনকে ডেকে নিয়ে গেলেন নিজের বেডরুমে।

‘জুম্মন, আমার শাড়িটা খোল।’ হুকুম করলেন তিনি।

জুম্মন কোন কথা না বলে হুকুম তামিল করলো।

‘এবার আমার ব্লাউজ খোল।’ বললেন মিসেস চৌধুরী।

জুম্মন সেটাও পালন করলো।

এবার মিসেস চৌধুরী নিচু গলায় বললেন, ‘আমার পেটিকোটটা খোল জুম্মন।’

জুম্মন খুললো।

মিসেস চৌধুরী জুম্মনের চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘আর কোনদিন যদি দেখি আমার জামাকাপড় গায়ে দিয়ে বসে আছিস, কানে ধরে বাসা থেকে বের করে দেবো!’

শাড়ীটা বদলাতে

এক চোর একটি দোকান থেকে একটি শাড়ী চুরী করে, ২য় দিন আবার সেই দোকানে এসে ধরা পড়ে

দোকানদ্বারঃ তোমার সাহস তো কমনা, গতকাল শাড়ী চুরী করে আজ আবার এসেছো চুরী করতে?

চোরঃ না আমি চুরী করতে আসি নাই।

দোকানদ্বারঃ তবে কেন এসেছো।

চোরঃ আমি গতকাল যে শাড়ীটা নিয়েছিলাম, তা আমার বৌ এর পছন্দ হয় নাই,

তাই আজ এসেছিলাম শাড়ীটা বদলাতে।

জানেন কার সাথে কথা বলছেন?

এক যুবক একটি কোম্পানিতে জয়েন করেছে ট্রেনি হিসেবে । প্রথমদিন এসেই কিচেনে ফোন করে চিৎকার ‘ এখনি আমাকে এক কাপ কফি দিয়ে যাও!! জলদি !!!!”

অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল ” গর্দভ !!! তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?”

যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল ” না আপনি কে?”
“আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর “….রাগী উত্তর এল।

যুবকটি এবার আবার আগের মত চিৎকার করে বলল ” আর আপনি জানেন আপনি কার সাথে কথা বলছেন????”
“না”…ওপার থেকে উত্তর।

“ব্বাবা বাঁচা গেছে” বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।

উকিলের কান্ডকারখানা

উকিল : মহাশয়, আমি জানি যে আপনি একজন বুদ্ধিমান ও সাধুলোক

স্বাক্ষী : ধন্যবাদ আমি একটু আগে সত্যি বলার শপথ নিয়েছি, নইলে এই প্রশংসা আপনাকে ও করতাম।

উকিল ডাক্তারকে : আচ্ছা পোষ্টমর্টেম শুরু করার আগে কি লোকটার নাড়ি টিপে দেখেছিলেন ?

“না ”

লোকটার রক্তচাপ দেখেছিলেন ?

” না ”

লোকটা নি:শ্বাস নিচ্ছে কিনা খেয়াল করেছিলেন ?

” না ”
তা হলে এটা কি সম্বভ নয় যে পোষ্টমর্টেম করার সময় লোকটি জীবিত ছিল?

” না ”

” কি করে আপনি নিশ্চিত হলেন ?”

” কারণ লোকটার মাথার ঘিলু আমার সামনে বোতলে ছিল ”
কিন্তু তা সত্তেও লোকটা বেচে থাকেত পারে – পারে না ?

ডাক্তার একটু চুপ করে থেকে এখন মনে হয় পারে হয়তো বেচে থেকে কোথাও ওকালতি করছে ।