পুরুষ মানুষের আয়ু

আল্লাহ তায়ালা গাধাকে সৃষ্টি করার পর বলেন, “তুমি সারাদিন বোঝা বইবে, খাঁটবে। আর তোমার আয়ু হবে ৫০ বছর। তুমি কি রাজি?”
গাধা বলে, “আমি সারাদিন খাঁটতে রাজি কিন্তু এতো আয়ু আমি চাইনা, আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করলে ভালো হয়।”
আল্লাহ গাধার আয়ু ৩০ বছর কমিয়ে ২০ বছর করলেন

আল্লাহ তায়ালা এবার কুকুরকে সৃষ্টি করে বললেন, “তুমি সারাদিন মানুষের সাথে থাকবে আর মানুষের উচ্ছিষ্ট্যগুলো খাবে। তোমার আয়ু হবে ৩০ বছর। তুমি কি রাজি?”
কুকুর বলল, “এতো আয়ু আমি নিতে পারবো না, আমাকে আয়ু কমিয়ে ১৫ বছর করলে ভালো হয়।”
আল্লাহ কুকুরের আয়ু কমিয়ে দিলেন ১৫ বছর।

এবার আল্লাহ বানরকে সৃষ্টি করার পর বলেন, “তুমি সারাদিন গাছের এ’ডাল থেকে ও’ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়াবে আর মানুষকে আনন্দ দেবে। তোমার আয়ু হবে ২০ বছর। তুমি কি রাজি?”
বানর বলল, “আমার আয়ু কমিয়ে ১০ বছর করে দিলে ভালো হয়।”
আল্লাহ তায়ালা বানরের আয়ু ১০ বছর কমিয়ে দিলেন।

এবার পালা পুরুষ মানুষের। আল্লাহ তায়ালা পুরুষ মানুষকে সৃষ্টি করে বলেন, “তুমিই হলো সৃষ্টির সেরা জীব। এবং তোমার আয়ু দেয়া হলো ২০ বছর। তুমি কি রাজি?”
পুরুষ মানুষ বলে, “হে সৃষ্টিকর্তা! আমার জন্য ২০ বছর খুব কম হয়ে যায়। আমাকে সেই সব আয়ু দেয়া হোক যা অন্য প্রাণীরা চায় নাই।”
আল্লাহ তায়ালা তার কথায় রাজি হলেন এবং তাকে তার ২০ বছরের সাথে গাধার কমিয়ে দেয়া ৩০ বছর, কুকুরের কমিয়ে দেয়া ১৫ বছর এবং বানেরর ১০ বছর দিয়ে দেয়া হলো। তাতে পুরুষ মানুষটির মোট আয়ু দাড়ালো ৭৫ বছর।

আর তারপর থেকেই পুরুষ মানুষ জন্মের প্রথম ২০ বছর কোনমতে ভালোভাবে কাটায়, পরের ৩০ বছর সংসারের বোঝা বয় এবং গাধার মত খাঁটে, তারপরের মাঝের ১৫ বছর এটা-সেটা খায়, অন্যের মর্জিতে চলে আর একদম শেষের ১০ বছর যখন বৃদ্ধ হয়ে যায়, তখন সে তার এছেলের বাড়ি, ও’মেয়ের বাড়ি ঘুড়ে ঘুড়ে কাঁটায় আর তার নাতি-নাতনিদের আনন্দ দেবার চেষ্টা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.