Category: পাঁচমিশালী

স্যার আর্থার এডিংটন

বিখ্যাত মহাকাশবিদ স্যার আর্থার এডিংটনকে প্রশ্ন করল এক উৎসাহী ছাত্র।
– স্যার, শুনেছি পৃথিবীতে মাত্র তিনজনই নাকি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের তত্ত্বটা বোঝেন, আর আপনি নাকি সেই তিনজনের একজন?
এডিংটন চুপ করে রইলেন।
– মাফ করবেন, আপনার মত বিনয়ী মানুষ এ ধরনের প্রশ্নে বিব্রত বোধ করবেন এটা আমার বোঝা উচিৎ ছিল।
– ঠিক তা নয়, আমি ভাবছি তৃতীয় লোকটি কে হতে পারে?

সবজান্তা সমীপেষু

ঘুষ কী?
সাধ্যের বাইরে খরচ করার ইনকাম!

প্রেম কী?
আতঙ্কিত করব, নাকি একটা ভালো পরামর্শ দেব?

অনেকে চোখের বদলে মাথায় চশমা পরে কেন?
যার চোখ যেখানে।

মীরজাফর আর বিশ্বাসঘাতকের মধ্যে পার্থক্য কী?
মীরজাফর একজনই, কিন্তু যুগে যুগে বিশ্বাসঘাতকের অভাব নেই!

আমরা স্বপ্ন দেখি কেন?
বাস্তবতা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি বলে।

গিন্নির ঝাড়ির হাত থেকে বাঁচার সহজ উপায় কী?
মুখ বুঝে সহ্য করা!

দেশপ্রেমিক কাকে বলে?
কোন সংজ্ঞাটা বলব, নতুনটা, না যেটা জানতেন সেটা?

নাপিত

একজন শিক্ষক গেছেন নাপিতের দোকানে চুল কাটাতে।
চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন, ‘আপনি একটি মহৎ পেশায় নিয়োজিত। আপনার কাছ থেকে আমি টাকা নেব না স্যার।’ শিক্ষক খুব খুশি হলেন। পরদিন সকালে নাপিত দোকানে এসে দেখেন, দোকানের সামনে শিক্ষক এক ডজন বই রেখে গেছেন।
সেদিন চুল কাটাতে এল এক পুলিশ। চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন, ‘আপনি জনগণের সেবক। আপনার কাছ থেকে কী করে টাকা নিই?’ পুলিশ খুশি হয়ে পরদিন নাপিতের দোকানের সামনে এক ডজন কমলা রেখে গেলেন।
পরদিন নাপিতের দোকানে এলেন এক উকিল। নাপিত উকিলের কাছ থেকেও টাকা রাখলেন না। বললেন, ‘আপনি ন্যায়ের জন্য লড়াই করেন। আপনার কাছ থেকে আমি টাকা নেব না, স্যার।’ পরদিন দেখা গেল, এক ডজন উকিল নাপিতের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে !

দৌড়বিদ

দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে রুস্তম। বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে গেল সে। এদিকে রেস্তোরাঁর দারোয়ান তাঁদের প্রবেশপথে আটকে দিল। বলল, ‘দুঃখিত স্যার, আপনি হাফপ্যান্ট পরে এসেছেন। হাফপ্যান্ট পরে আমাদের রেস্তোরাঁয় প্রবেশ নিষেধ।’
রুস্তম: ব্যাটা বুদ্ধু, কত বড় সাহস! আমাকে আটকে দিস! তুই জানিস আমি কে? আমি বিখ্যাত দৌড়বিদ রুস্তম।
দারোয়ান: তাহলে তো ভালোই হলো। এক দৌড়ে বাসা থেকে ফুলপ্যান্টটা পরে আসুন!

প্লেন থামিয়ে ধাক্কা

একজন বাস ড্রাইভার আর এক পাইলট বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছিল—
বাস ড্রাইভার: আমি মাঝে মাঝে আমার যাত্রীদের খাটিয়ে নিতে পারি। কিন্তু তুই পারিস না।
পাইলট: কী রকম?
বাস ড্রাইভার: তুই কি মাঝপথে প্লেন থামিয়ে বলতে পারবি, ‘ভাইয়েরা, একটু নামেন, ধাক্কা দিতে হবে?’