Category: অফিস

অফিস-official-jokes bangla jokes jokes in bangla, boss jokes, employee jokes Job jokes

মাতলামি ও চাকরি

মাতলামির জন্য কোন চাকরিই এক দুই মাসের বেশি স্থায়ী হয় না গফুরের। একটার পর একটা চাকরি যেতে যেতে শেষমেশ সে চাকরি পেল একটা কটন মিলে। কিন্তু প্রথম দিন কাজ করতে গিয়েই একটা পার্টস ভেঙে ফেলল। ফোরম্যান এসে ধমক দিল।
– ওই পার্টস ভাঙার দরুন প্রতিমাসে তোমার মাইনে থেকে দুইশ টাকা করে কেটে রাখা হবে। এভাবে পাঁচ বছরে পার্টস এর দাম শোধ হবে, বুঝেছ?
– হ্যাঁ , বুঝেছি। শুনে খুশি হলাম। বউকে বলতে পারব পাঁচ বছরের আগে চাকরি যাচ্ছে না।

ড্রাইভার চাই

ড্রাইভার চাই’ এই মর্মে কাগজে বিজ্ঞাপণ দিলেন এক ভদ্রলোক। চাকরিপ্রার্থীরা এল। ভদ্রলোক প্রথম প্রার্থীকে প্রশ্ন করলেন, একটা গর্তের কতটা কাছ দিয়ে তুমি গাড়ি চালাতে পারবে?
– ত্রিশ সেন্টিমিটার।
অন্যান্য প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন। উত্তরে ত্রিশ থেকে আট সেন্টিমিটার অবধি প্রার্থীরা নামল। কেবল একজন জানাল যে, সে চেষ্টা করবে অন্তত ফুট দুয়েক দূর থেকে চালাবার।
ভদ্রলোক বললেন, এতক্ষণে ঠিক লোকটি পাওয়া গেল।

অন্যদের কাজকর্ম

সদ্য চাকরি খেয়েছে এক যুবক। বন্ধুর বাড়িতে এসে সে তার দুঃখের কথা জানাচ্ছিল।
– ফোরম্যান তোমাকে বরখাস্ত করল কেন?
– তুমি তো জান, ফোরম্যানরা কী হয়। নিজেরা কাজ না করে দু’ পকেটে হাত ঢুকিয়ে অন্যদের কাজকর্ম তদারকি করে।
– তা জানি। কিন্তু তিনি তোমাকে তাড়ালেন কেন?
– আর কেন, ঈর্ষায়। আসলে সব কর্মী আমাকেই ফোরম্যান ভেবে বসেছিল।

দুই বন্ধু

অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে।
অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না।
নাছের: হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারব, দেখবি?
বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন।
বস: এ কী নাছের! তুমি ঝুলে আছ কেন?
নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’
বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’
নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল।
অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল।
বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি কোথায় যাচ্ছ?
অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?!

ইন্টারভিউ

চাকরীর ইন্টারভিউ চলছে …
বস, “আমরা কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র দুইটা রুল ফলো করি।”
সান্টা সিং, “কি কি স্যার?”
বস, “আমাদের দ্বিতীয় রুল হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। আপনি কি এখানে আসার আগে রুমের বাইরে রাখা ম্যাট এ জুতোর তলা মুছে এসেছেন?”
সান্টা সিং, “হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার!”
বস, “আমাদের প্রথম রুল হলো বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাইরে কোন ম্যাট ছিলোই না! কাজেই আপনাকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। আর চাকরীর ব্যাপারটাও ভুলে যান!”