Yasin Hossain

Author's posts

ঐশ্বরিয়া রায়

আবুল একবার এক নদীর
পাড়ে একা বসে আছে।
হঠাৎ এক ইচ্ছে পূরণ করার দৈত্য
আসলো এবং বলল
“বল, তুই কি চাস?? আমি তোর
ইচ্ছে পূরণ
করে দিব!”
আবুল
খুশি হয়ে বললঃ “আমি ঐশ্বরিয়া রায়ক
আমাকে ঐশ্বরিয়া রায়কে এনে দাও।
দৈত্যঃ “কিন্তু, ঐশ্বরিয়ার
একেকটা শাড়ির দামই
তো লাখ টাকার উপরে!! খরচ
চালাতে পারবি??”
আবুল একটু ভেবে হতাশ
হয়ে বলল,”তাহলে,আর
কোনো উপায় নাই??”
দৈত্যঃ “আছে, সানি লিওন!! কাপড়
চোপড়ের
কোন খরচই নাই ।

আপনি ভূত

বল্টু আর হাবলু কবরস্থানে তাদের আত্মীয়ের
কবরে প্রার্থনা করে ফিরছিলো। এমন সময়
পাথরে পাথরে ঘষার কর্কশ আওয়াজ
শোনা গেলো। ভয়ে দুই বন্ধুর প্রাণ
যায় যায় অবস্থা। তাড়াতাড়ি কবরস্থান থেকে বের
হতে গিয়ে তারা দেখলো এক বৃদ্ধ কবরের নাম
ফলক ঘষছে। এই না দেখে দুই বন্ধুরভয়
কমে গেলো।
তারা বৃদ্ধকে বললোঃ আপনি আওয়াজ
করে আমাদের খুব
পাইয়ে দিয়েছিলেন। আমরা মনে করেছিলাম
আপনি ভূত।
বৃদ্ধ বললো,
আর বলো না। বোকার হদ্দ
মিস্ত্রী গুলো কবরের নাম ফলকে আমার
নামটা ভুল লিখেছে।

এক রাতের ভাড়া ৫,০০০

খুব লাজুক এক ছেলে এক রেস্টুরেন্ট এ
গিয়ে দেখল
এক খুব সুন্দরি মেয়ে একা বসে আছে সে সাহস
করে সেই মেয়ের কাছে গেল আর
বলল “ আপনি যদি কিছু মনে না করেন
আমি কি আপনার পাশে বসতে পারি??
মেয়ে চিৎকার করে উঠল “ আপনি আমাকে
কি মনে করছেন?? আমি আপনার
সাথে রাত কাটাবো !! ননসেন্স”
সাথে সাথে রেস্টুরেন্ট এর সবাই ছেলেটির
দিকে ঘুরে তাকাল আর সবাই কড়া চোখে তার
দিকে তাকাল সেটা দেখে ছেলেটি খুব ই বিব্রত
আর লজ্জিত হল
সে চুপচাপ গিয়ে অন্য এক টেবিল এ বসেপড়ল!!
কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ছেলের কাছে গিয়ে
ফিস ফিস করে বলল“ আমি মনোবিজ্ঞানের
ছাত্রী
তাই বিভিন্ন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে মানুষ
কেমন
আচরন করে সেটা নিয়ে গবেষণা করছি কিছু
মনে করবেন না !”
তখন ছেলে চিৎকার করে বলে
উঠলো “কি ??? ৫,০০০ টাকা…!!
তোমার মত মেয়ের
এক রাতের ভাড়া এত নাকি…!

আপনি যা বলেন

স্বামীঃ আজ বাসায় কি কি রান্না হবে?
স্ত্রীঃ আপনি যা বলেন।
স্বামীঃ আচ্ছা মাছ রান্না কর।
স্ত্রীঃ গতকাল ই না করলাম?
স্বামীঃ তাহলে সবজী রান্না কর।
স্ত্রীঃ বাচ্চারা পছন্দ করেনা।
স্বামীঃ তাহলে কিমা রান্না কর।
স্ত্রীঃ এটা তো আমি পছন্দ করিনা।
স্বামীঃ হুম পরোটা হলে কেমন হয়?
স্ত্রীঃ রাতে পরটা কে খাবে!
স্বামীঃ তাহলে আজ রান্নাটা হবে কি?
স্ত্রীঃ আপনি যা বলেন!

নিলামের তোতা

জামাল সাহেব নিলামে একটা তোতা কিনবেন। নিলাম শুরু হলো। জামাল দাম হাঁকালেন, ‘১০ হাজার টাকা।’
ভিড়ের মধ্যে চিকন গলায় কে যেন বলল, ‘৫০ হাজার টাকা।’
জামাল সাহেবের মেজাজ বিগড়ে গেল। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার? কোন বড়লোকের ব্যাটা তোতাটা নিতে পারে, তিনি দেখে ছাড়বেন।
জামাল বললেন, ‘এক লাখ টাকা।’
চিকন গলা আবার বলল, ‘দুই লাখ।’
জামাল এবার খেপেই গেলেন। বললেন, ‘পাঁচ লাখ।’
কান পাতলেন, নাহ্, এবার আর কেউ পাল্টা দাম হাঁকাল না।
তোতাটা হাতে নিয়ে জামাল নিলামের সঞ্চালককে বললেন,
এটা কথা বলতে পারে তো? নইলে এত দাম দিয়ে কিনলাম কেন?’
নিলাম সঞ্চালক বললেন,
কথা বলতে পারে না মানে? আপনার কী মনে হয়? এতক্ষণ কে আপনার সঙ্গে পাল্টা দর হাঁকাচ্ছিল?’