Yasin Hossain

Author's posts

টেলিফোনে তরুণী

টেলিফোনের অপর প্রান্তে এক তরুণীর কণ্ঠ শোনা গেল।
– একটা ছেলে জানালা দিয়ে আমার ঘরে আসতে চাইছে।
– এটা পুলিশ স্টেশন নয়, এটা ফায়ার বিগ্রেড অফিস।
– এটা যে ফায়ার বিগ্রেড অফিস তা জেনেই আমি ফোন করেছি। ছেলেটার আরো একটু বড় মই দরকার।

ডেন্টিস্টের চেম্বার

ভয়ের কিছু নেই। চট করে আপনার দাঁত তুলে দেব।
– না, না, ডাক্তার সাহেব, আমার ভীষণ ভয় করছে। যন্ত্রণায় আমি মরেই যাব।
– ঠিক আছে এই নিন, খানিকটা ব্র্যান্ডি খেয়ে নিন।
(ব্র্যান্ডি খাওয়ার পর)
– কি, এখন সাহস বেড়েছে তো?
– নিশ্চয়ই বেড়েছে। এখন দেখি কোন শালা আমার দাঁত তুলতে আসে। হাত লাগাতে আসুক, বাপের নাম ভুলিয়ে দেব। এক ঘুঁসিতে দাঁত ফেলে দেব।

ডাক্তারের চেম্বারে রোগী

ডাক্তারের চেম্বারে ছুটে এলেন এক রোগী।
– প্লিজ, ডাক্তার সাহেব, আমাকে বাঁচান। যখন জেগে থাকি তখন মনে হয় আমার পাশে জিরাফ বসে আছে। কখনো শিম্পাঞ্জি খাওয়ার সময় ভাগ বসাতে চায়। তা ছাড়া হাতি, গণ্ডার, হরিণ তো আছেই। আমি কী করব বলুন ডাক্তার সাহেব।
– আপনি মোটেই চিন্তিত হবেন না, শিগগিরই বাড়িতে একটা খাঁচা কিনে বাড়িতে ঢুকে পড়ুন।

আর একটা সুযোগ

স্বামীঃ এই ড্রাইভারকে আজই বিদায় করে দেব। বেপরোয়া গাড়ি চালায়। ছয়-ছয় বার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি আমি। আজ ও আমাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল।
স্ত্রীঃ না,, না, লক্ষীটি। ওকে বিদায় কোরো না। আর একটা সুযোগ অন্তত দাও তাকে।

ডিটেকটিভ বই

সকালে চায়ের টেবিলে একখানা ডিটেকটিভ বই ফেলে দিয়ে স্বামী স্ত্রীকে বলল, দারুণ বই। আমি কাল রাত দুটো পর্যন্ত এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করেছি।
– কিন্তু কাল বারোটার পর যে লোড শেডিং হল, পড়লে কী করে?
– পড়তে পড়তে এতই মগ্ন ছিলাম যে কিছুই টের পাই নি।