Author's posts

শয়তান খাইলো বাঁশ ।

একজন খারাপ চরিত্রের লোক ছিল। সরাসরি বলা যায় বিকৃত রুচি। সে খালি মেয়ে মানুষ না, ছেলে, বৃদ্ধা, পশু, পাখি, গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল, মশা, মাছি যা পাইত তার সাথেই আকাম কুকাম করত। জীবনের প্রথম ২২ টা বছর তার এভাবে গেল। বলাই বাহুল্য সব শয়তানের কু-মন্ত্রনা।এর পর জানি তার কি হল সে একদিন হঠাৎ ভাল হয়ে গেল। সে বলল আগামী ২২ বছর আমি খালি ধ্যান করব এরপর সে ধ্যান করা শুরু করল। কঠিন সাধনা এবং তপস্যা। সে ভাল হয়ে গেল। শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল! যেভাবেই হোক ২২ বছরের আগে তার বিচ্যুতি ঘটাতেই হবে। ধ্যান করার বয়স যখন ৫ বছর তখন শয়তান তার সামনে মুনমুন আর ময়ুরী কে আনল। নাহ খারাপ চরিত্রের লোকটার তারপরেও ধ্যান ভাঙ্গল না। ১০ বছর পর তার থেকে ভাল কোয়ালিটির বাংলাদেশের সুন্দর ফিগারের মডেল গুলাকে আনা হল। নাহ এখনও ধ্যান ভাঙ্গে না। ১৫ বছর পর ক্যাটরিন, জিটা জোন্স, কেট উইন্সলেট এইসবও চলে আসল নাহ কিছুই হইল না। ২০ বছররে সময় শয়তান একেবারে বেহেশতের পরীগুলাকে আনল। নাহ তাও ঐ লোকের ধ্যান ভাঙ্গে না। শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল! শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছে হার!! এরপর শয়তান নিজেই মেয়ে সাজল। মেয়ে সেজে ঐ লোকের কাছে গেল। লোকটি চোখ খুলে দেখে সামনে অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে। সে তারপর তার ধ্যান ভেঙ্গে আকাম কুকাম শুরু করল। সব শেষ হওয়ার পর শয়তান নিজের বেশে ফিরে আসল। তারপর শয়তানের ট্রেড মার্ক অট্টহাসি শুরু হুল। মুহাহাহাহাহাহাহাহা, ভাংছি তোর ধ্যান ভাংছি। মানুষ কখনও শয়তানকে হারাতে পারবেনা। লোকটাও অট্টহাসি শুরু করল। হুহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহ। শয়তান অবাক!! কিরে তুই হাসছ ক্যান? ২২ বছর আগে তো সবগুলারে লাগাইসিলাম। এরপর খালি বাকি ছিল শয়তান। ২২ বছর সাধনা কইরা আইজ শয়তান লাগাইলাম। হুহাহাহহাহাহাহ।

স্প্যানিশ মেয়ে ।

এক মহিলা স্পেন যাচ্ছে এক মাসের সফরে অফিসের কাজে। যাবার সময় স্বামীর কাছে জানতে চাইল যে তার কিছু লাগবে কি না। স্বামী বলল একটি স্প্যানিশ মেয়ে আনতে। বৌ বলল ঠিক আছে। এক মাস পর যখন বৌ ফিরে এল তখন স্বামী জানতে চাইলো ”আমার স্প্যানিশ মেয়ে কোথায় ?” বৌ উত্তর দিল “মাত্র তো একমাস হল,আরো ৯ মাস অপেক্ষা কর”।

আছাড় খাওয়া ।

এক শহরে পরকীয়ার খুব চল। কমবেশী সবাই করছে। এরাই আবার চার্চে গিয়ে ফাদারের কাছে কনফেশন করে তারা কি করেছে। বৃদ্ধ ফাদার এইসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত। এক রবিবারে তিনি সবাইকে বললেন আর কেউ যদি আমার কাছে পরকীয়ার কথা স্বীকার করে তবে এই শহর আমি ছাড়ছি। শহরের লোকজন আবার ফাদারকে খুবই পছন্দ করে। এরা ভাবল পরকীয়ার নতুন কোন শব্দ বা কোড ব্যবহার করতে হবে। শহরবাসী এরপর থেকে পরকীয়ার জন্য ব্যবহার করতে লাগল “আছাড়”।” ফাদার! আমি আছাড় খাইছি এই সপ্তাহে । নতুন পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। ফাদার কিছুই টের পাননা। একদিন বৃদ্ধ ফাদার মারা যান।তার জায়গায় নতুন আর অল্পবয়স্ক একজন ফাদার আসে। সে তো আছাড় খাওয়ার কথা শুনতে শুনতে অবাক। সে গেলো শহরের মেয়রের কাছে। মেয়র! আমাদের শহরে রাস্তাগুলো ঠিক করা দরকার। লোকজন প্রচুর আছাড় খাচ্ছে মেয়র বুঝলেন বেচারাকে কেউ আছাড়ের মানে বুঝিয়ে দেয় নাই। আর তাই সে চলে এসেছে সরাসরি তার কাছে। তার হাসি চলে আসল।ঠিক এমন সময় ফাদার বললেন, আমি বুঝছি না যে কেন আপনি হাসছেন??? আপনার স্ত্রীই এই সপ্তাহে তিনবার আছাড় খাইছে ।