Abbas Ali

Author's posts

Kobita

স্বামী: আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম
গাছে মৌ, আগে জানলে আনতাম না ঘরে
এমন ঝগড়াটে বৌ।
স্ত্রী: নোটন নোটন পায়রা গুলি ঝোটন
বেঁধেছে, আমাকে বিয়ে করতে তোমায় কে
বলেছে?
স্বামী: ঐ দেখা যায় তালগাছ ঐ আমাদের
গাঁ, বিয়ের আগে লক্ষী মেয়ে কিছুই চাইতো
না।
স্ত্রী: হাড় কিপটে।
স্বামী: আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল
তুলিতে যাই, বিয়ের পরে এখন শুধু করে খাই
খাই।
স্ত্রী: ছিপখান তিন দাঁড় তিনজন মাল্লা, কি
আছে কপালে জানেন শুধু আল্লাহ।
স্বামী: ভোর হলো দোর খোলো খুকুমনি
উঠোরে, ভাল যদি না লাগে বাপের বাড়ি
ছোটরে।
স্ত্রী: আগডুম বাগডুম ঘড়ারডুম সাঁজে, আগে
বুঝি নাই তুমি এত বাজে।
স্বামী: আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দেবো মেপে,
আর বেশি চিল্লাইলে ধরবো গলা চেপে।
স্ত্রী: আগে কি বলতে মনে আছে? পূরণ করবো
তোমার মনের সাধ, আকাশ থেকে এনে দিমু
চাঁদ, এখন বাজার থেকে শাড়ি আনাও বাদ।
কে জানতো আগে, প্রেমে এত খাঁদ।

*******একটি লুতুপুতু চ্যাট*******

এক মেয়ে আর এক ছেলে ।
একটি লুতুপুতু চ্যাট।
`
: ভাইয়া একটা পার্সোনাল প্রশ্ন করি?
: জ্বি বোন, করেন।
: আপনার কোন gf আছে?
: না বোন, নেই।
: কেন নেই?
: আমার gf পালার সময় নেই তবে gf আমার খুব
পছন্দ।
: মানে কি ভাইয়া বুঝলাম না।
: মানে হচ্ছে gold fish (gf) খুব পছন্দ করি
কিন্তু সময়ের অভাব আর ব্যস্ততার করণে পালতে
পারিনা।
: আজব! আপনাকে কি আমি মাছের কথা জিজ্ঞাসা
করছি, আমি gf বলতে মানুষ বুঝাইছি।
: ও সরি বোন, আসলে আমার বুঝতে ভুল
হয়েছে।:) : এবার বলেন তাহলে।
: বলতেই হবে?
: হুম।
: না বোন, নেই।
: gf নেই বলে কি কেউ এত মন খারাপ করে
নাকি ভাইয়া? এখন নেই তো কি হয়েছে ভবিষ্যতে
তো হতেই পারে।
: না বোন, তা সম্ভাব না।
: কেন?
: কারণ আমার grand father (gf) কয়েক বছর
আগেই মারা গেছে উনার কথা মনে পড়লে
ভীষন মন খারাপ হয়।
— মেয়ে অজ্ঞান

বাসর রাতের গল্প

বাসর রাতে পল্টু তো খুব দ্বিধায় পড়ে গেল! স্ত্রীর সাথে কী কথা বলবে সে? আধা ঘণ্টা অনেক চিন্তা-ভাবনা করল। তারপর হুট করেই তার স্ত্রীকে বলল-
পল্টু: আপনার বাসার লোকেরা কি জানে?
স্ত্রী: কী জানবে?
পল্টু: আজকে যে আপনি এখানে থাকবেন।

স্বামী-স্ত্রীদের নিয়ে মজার কিছু জোকস !

স্ত্রী: এতক্ষণ ধরে ওই কাগজটিতে কী দেখছ তুমি?
স্বামী: কই, কিছু না তো!
স্ত্রী: আরে, এ যে দেখি ডাহা মিথ্যে কথা বলছ। তুমি প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আমাদের কাবিননামা এত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছটা কী, শুনি?
স্বামী: না, তেমন কিছু নয়। অনেকক্ষণ ধরে খুঁজেও কেন জানি কাবিননামার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটা বের করতে পারলাম না।
………………………………………………………..
স্ত্রী: আচ্ছা, তুমি সব সময় অফিসে যাওয়ার সময় ব্যাগে করে আমার ছবি নিয়ে যাও কেন?
স্বামী: অফিসে যখন আমি কোনো সমস্যায় পড়ি, তখন তোমার ছবিটি বের করে দেখলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, বুঝলে?
স্ত্রী: তাই নাকি! তাহলে দেখো, তোমার জন্য আমি কতটা সৌভাগ্যের!
স্বামী: হুম, আমার যখন সমস্যা আসে, তখন তোমার ছবি বের করে দেখি আর নিজেকে বলি, তোমার চেয়ে তো বড় কোনো সমস্যা পৃথিবীতে থাকতে পারে না। আর সঙ্গে সঙ্গে ছোট সমস্যাগুলো আর আমার কাছে সমস্যা বলে মনে হয় না।
………………………………………………………
মৃত্যুশয্যায় শায়িত স্বামী তার স্ত্রীকে বলছেন—
স্বামী: আমি তো আর এক মাস পর মারা যাব, তাই আমি চাই, আমার মৃত্যুর পর তুমি সাজ্জাদ সাহেবকে বিয়ে কর।
স্ত্রী: সাজ্জাদ সাহেব! বলো কি, সে তো তোমার শত্রু। আর তাকে কিনা বিয়ে করতে বলছ তুমি!
স্বামী: আমি জানি সে আমার শত্রু। সাজ্জাদকে শায়েস্তা করার এটাই তো মোক্ষম সুযোগ, বুঝলে
…………………………………………………………….
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেন না। আর যতটুকু বলা প্রয়োজন, তা ইশারায় জানিয়ে দেন। স্বামী দেখলেন, পরের দিন ভোরে তাঁর ফ্লাইট। তাঁকে উঠতে হবে ভোর পাঁচটায়। কিন্তু স্ত্রী যদি জাগিয়ে না দেন, তবে কিছুতেই ভোরবেলায় তাঁর ঘুম ভাঙবে না। কিন্তু তাঁরা কথাও তো বলেন না। কী আর করা! স্বামী একটা কাগজে লিখে দিলেন, ‘দয়া করে ভোর পাঁচটায় আমাকে জাগিয়ে দেবে।’ কাগজটি টেবিলের ওপর রেখে দিলেন, যাতে স্ত্রী দেখতে পান। কিন্তু পরের দিন যখন তাঁর ঘুম ভাঙল, তখন সকাল নয়টা বেজে গেছে এবং বিমানও তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি রেগে টং হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তাঁকে জাগানো হলো না। এদিকে স্ত্রীও সমান তেড়িয়া, ‘এত রাগছ কেন? আমি তো তোমার ওই কাগজটিতে লিখে রেখেছি যে এখন ভোর পাঁচটা বাজে, ঘুম থেকে ওঠো। কিন্তু তুমি তো টেরই পেলে না। আমার কী দোষ?’
………………………………………………………………………………………………
সাইফ: তুই তোর বউর সাথে ঝগড়া করিস?
রিয়াজ: হ্যাঁ, করি। তবে প্রতিবার ঝগড়ার শেষে ও এসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসে পড়ে।
সাইফ: বলিস কী! তারপর?
রিয়াজ: তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে বলে, ‘খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসো। আর মারব না।’
………………………………………………………………………………………………..
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’
স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’
স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।
পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’
এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’
স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’
……………………………………………………………………………………………..
স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতে গেছেন—
স্বামী: আমি আমার স্ত্রীকে আজই তালাক দিতে চাই। আপনি একটু ব্যবস্থা করুন।
আইনজীবী: কেন, সমস্যা কী আপনাদের?
স্বামী: আমার স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে না।
আইনজীবী: আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।
……………………………………………………………………………………………….
নববিবাহিতা দম্পতির মাঝে কথা হচ্ছে।
স্ত্রী : যদি বলি আমার উপরের পাটির দাঁতগুলো বাঁধানো, তবে কি তুমি রাগ করবে?
স্বামী : মোটেই না, আমি তবে নিশ্চিন্তে আমার পরচুলা আর কাঠের পা-টা খুলে রাখতে পারব।
……………………………………………………………………………………………………
: আমার স্ত্রী যার সঙ্গে পালিয়ে গেছে সে আমার সবচাইতে বড় বন্ধু।
: তাই নাকি? লোকটা কি দেখতে খুবই সুন্দর?
: কী জানি, জীবনে তাকে দেখি নি তো।

বিয়ের পর শশুরবাড়িতে নতুন বউকে

শাশুড়ি বলছে: মা আজ থেকে তুমি এ বাড়িরই একজন সদস্য। আমার
মেয়ে তুমি, আমাকে তুমি মা ডাকবে।
নতুন বউ : আচ্ছা মা।
সারা দিনের কাজ শেষে জামাই বাসায় আসছে কলিংবেল বেজে উঠলো।
শাশুড়ি : এই কে এলো, দেখোতো বউ মা ?
নতুন বউ : মা! মা!! ভাইয়া এসেছে।