Tag: তো

আবার মারুন তো দেখি

রোমেল আর তার বউ গলফ খেলা শিখতে গেছে এক পোড়খাওয়া গলফারের কাছে। প্রথমে রোমেলের পালা। কষে বলের ওপর ক্লাব চালালো সে। বল গিয়ে পড়লো ১০০ গজ দূরে।

“উঁহু, এভাবে নয়।” এদিক ওদিক মাথা নাড়লো গলফার। “এমনভাবে ক্লাবটাকে আঁকড়ে ধরুন, যেন স্ত্রীর বুক চেপে ধরেছেন।”

এই পরামর্শ কাজে লাগিয়ে ক্লাব হাঁকালো রোমেল। এবার বল গিয়ে পড়লো ৩০০ গজ দূরে। সন্তুষ্ট হয়ে এবার রোমেলের বউকে শেখাতে বসলেন গলফার।

“কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম, ক্লাবটাকে এমনভাবে পাকড়াও করুন, যেন আপনার স্বামীর ঐ প্রত্যঙ্গটি চেপে ধরেছেন। তারপর কষে হিট করুন।”

রোমেলের বউ হিট করলো, বল গিয়ে পড়লো ১০ গজ দূরে।

গলফার বললেন, “হুম, মন্দ নয়। এবার এক কাজ করুন, ক্লাবটাকে মুখ থেকে নামিয়ে হাত দিয়ে ধরে আবার মারুন তো দেখি!”

আপনার তো দুটা কানই কাটা!’

রিয়াদ সাহেবের কান দুটি কাটা পড়েছে বহু আগে। টিভিতে খবরের জন্যে একজন রিপোর্টার খুঁজছেন তিনি।

ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রথম প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি, ‘দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?’

প্রার্থী একগাল হেসে বললো, ‘নিশ্চয়ই স্যার। আপনার তো দুটা কানই কাটা!’

রিয়াদ সাহেব গর্জে উঠলেন, ‘বেরো এখান থেকে, ব্যাটা নচ্ছাড়!’

দ্বিতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন তিনি। ‘দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। তা, আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?’

দ্বিতীয় প্রার্থী খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে বললো, ‘জ্বি স্যার। আপনার তো দুটা কানই কাটা!’

রিয়াদ সাহেব গর্জে উঠলেন, ‘বেরো এখান থেকে, ব্যাটা ফাজিল!’

তৃতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন তিনি। ‘দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?’

এবার প্রার্থী বললো, ‘জ্বি স্যার। আপনি কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে আছেন।’

রিয়াদ সাহেব খুশি হয়ে বললেন, ‘বাহ, আপনি তো বেশ — তা কিভাবে বুঝলেন?’

‘সোজা। আপনি চশমা পরবেন কিভাবে, আপনার তো দুটা কানই কাটা!’

আমারটাও তো মরে গিয়েছিলো!’

সুমন আর জুমন, দুই আধুনিক চাষী, গরু চাষ করে তারা।

সুমন একদিন এসে জুমনকে বলছে, ‘দোস্ত, তোর একটা গরুর খুব জ্বর হয়েছিলো গতমাসে, কী করেছিলি বল তো?’

জুমন বললো, ‘তারপিন খাইয়েছিলাম।’

সুমন ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেলো।

হপ্তাখানেক বাদে আবার দুজনের দেখা। সুমনের মুখ কালো। সে গম্ভীর গলায় বললো, ‘ইয়ে দোস্ত, তোমার একটা গরুর খুব জ্বর হয়েছিলো গতমাসে, কী যেন খাইয়েছিলে?’

‘তারপিন।’ বললো জুমন।

সুমন রাগে ফেটে পড়লো, ‘আমি আমার গরুটাকে তারপিন খাওয়ানোর পর সেটা মরেই গেছে!’

জুমন চমকে উঠলো, ‘আরে, কী আশ্চর্য! আমারটাও তো মরে গিয়েছিলো!’

ভাবীর হাতের রান্না তো অপূর্ব!’

বাবুর অফিসের কাজে মন বসে না। তার গা ম্যাজম্যাজ করে, মেজাজটাও খারাপ হয়ে থাকে।

বস একদিন ডাকলেন তাকে।

‘শোনো, এভাবে তো চলবে না। তোমাকে চাঙা হতে হবে। আমারও এরকম হতো আগে। তখন কী করতাম জানো? লাঞ্চ আওয়ারে বাড়ি চলে যেতাম। তোমার ভাবীর হাতের মজার রান্না খেয়ে, ঘন্টাখানেক তাকে চুটিয়ে আদর সোহাগ করতাম … হে হে, বুঝতেই পারছো, কী বলতে চাইছি। এরপর থেকে আমি একদম চাঙা, কোন সমস্যা হয় না। তুমিও ওরকম একটা কিছু করে দেখো, ফল পাবে।’

হপ্তাখানেক পর বস দেখলেন, অফিসে বাবুর কাজ চলছে দারুণ। টেলিফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার নিয়ে দক্ষযজ্ঞ কান্ড একেবারে। বস হাসলেন, ‘কী মিয়া, পরামর্শ কাজে লাগলো?’

বাবু উৎফুল্ল গলায় বললো, ‘জ্বি স্যার, একেবারে হাতে হাতে। আর ভাবীর হাতের রান্না তো অপূর্ব!’

‘বুঝতেই তো পারছেন।’

টিনা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।

পাখির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা খাঁচার তোতাপাখি তাকে দেখে বললো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’

টিনা চটে গেলেও কিছু বললো না, পাখির কথায় কী আসে যায়?

পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও একই ঘটনা ঘটলো, পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’

টিনা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে গেলো।

তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’

এবার টিনা মহা চটে দোকানের ম্যানেজারকে হুমকি দিলো, সে মাস্তান লেলিয়ে এই দোকানের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। ম্যানেজার মাপ চেয়ে বললো, সে এর বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, পাখিটা আর এমন করবে না।

তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু!’

টিনা থমকে দাঁড়িয়ে পাখির মুখোমুখি হলো, ‘কী?’

পাখিটা বললো, ‘বুঝতেই তো পারছেন।’