কান্না ছাড়া

এক দম্পতির ঘরে এক ফুটফুটে ছেলে হল।

ছেলেটির বয়স এক ছাড়িয়ে দুই-এ পড়ল।তবু ও কান্না ছাড়া আর কোন কথা বা শব্দ করতো না।
এই নিয়ে ছেলের বাবা মা দু’জনই চিন্তিত।

এক সকালে ছেলেটি দাদা বলে কেঁদে উঠলো।এরপর ঘটলো এক আজব ঘটনা!
দেখা গেল ছেলেটির দাদা মাটিতে গড়াগড়ি খেতে খেতে মারা গেল।
পরদিন ছেলেটি একমাএ ফুফুর নাম নিতে তিনি ও শেষ।
একইভাবে কাকা,মামা,খালা ও শেষ।

এরপর ছেলেটি যখন বাবার নাম নিল তখন ঘটলো এক আজব ঘটনা!
এর পরপরই পাশের বাড়ির এক কাকা মাটিতে গড়াগড়ি খেতে আরম্ভ করলো;ছেলেটির বাবা ওর মার দিকে
বাকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো।

তার স্ত্রীকে দেখতে পেল

একজন লোক শুক্রবার অফিসে গিয়েছে। সেদিন মাইনে পাওয়ার দিন । মাইনে পেয়েই লোকটি ঠিক করল যে সে একেবারে উইকএন্ড পার্টি করে কাটিয়ে তবে বাড়ি ফিরবে। যথারীতি রবিবার রাতে বাড়ি ফিরে সে দেখল স্ত্রী রেগে বোম হয়ে আছে। বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই প্রশ্ন ” তোমার কেমন লাগবে যদি তুমি আমাকে দু-তিন দিন দেখতে না পাও ?”
স্ত্রীর কাছে কিছুতেই হারবে না বলে মনস্থ করা লোকটি বলল ” আমার কোন প্রবলেম হবে না”।
সোমবার কেটে গেল সে বউকে দেখতে পেল না… মঙ্গলবার,বুধবার কেটে গেল সে বউকে দেখতে পেল না।
অবশেষে বৃহস্পতিবার সে তার ফুলে ঢোল হওয়া দুটি চোখের মধ্যে একটি কোনরকমে খুলে তার স্ত্রীকে দেখতে পেল…

সে ঘুমায় না

একবার জন তার মাকে দাওয়াত করল তার বাসায় ডিনার করার জন্য। তার মা যথারিতি ডিনার করতে আসল। এসে দেখে তার ছেলের বাসায় একজন সুন্দর গৃহপরিচারিকা কাজ করছে। এ দেখে তার মায়ের মনে সন্দেহ হল। জন তার মায়ের এ সন্দেহ বুজতে পেরে মাকে বলল ওর সাথে আমার কোন খারাপ সম্পর্ক নেই।
তার মা চলে যাওয়ার পর গৃহপরিচারিকা জনকে বলল জন তোমার মা চলে যাওয়ার পর থেকে আমি মাংস নাড়ার বড় চামচ টি খুজে পাচ্ছি না। সে জনকে বলল তোমার কি মনে হয়? জন বলল আমি এ ব্যাপারে সন্ধিহান। তবে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাকে চঠি লিখব। এবং যেই কথা সেই কাজ।
জন লিখল এভাবে –প্রিয় মা আমি বলছি না যে তুমি আমার ঘর থেকে একটি চামচ নিয়েছ এবং আমি এও বলছি না যে তুমি নাও নি তবে তুমি যাওয়ার পর থেকে আমি একটি মাংস নাড়ার বড় চামচ খুজে পাচ্ছি না।
একসপ্তাহ পর জন উত্তর পেল । তার মা লিখল প্রিয় জন আমি মনে করি না যে তোমার গৃহপরিচারিকা তোমার বিচানায় ঘুমায় এবং আমি এও মনে করি না সে ঘুমায় না।কারন সে যদি তার বিচানায় ঘুমাতো তাহলে সে এত দিনে চামচটি পেয়ে যেত।

জেল থেকে বের করে দিবো স্যার

জেলারঃ আপনি জেলার পদে কাজ করতে পারবেন?
প্রার্থীঃ অবশ্যই পারব স্যার
জেলারঃ বলেন তো কয়েদীরা ঝামেলা করলে কি করবেন?sad
প্রার্থীঃ এক ঝাড়ি দিয়ে থামিয়ে দেবো স্যার
জেলারঃ যদি বেশি বেয়াদবী করে?
প্রার্থীঃ থাপ্পড় দিয়ে ওদেরকে জেল থেকে বের করে দিবো স্যার

এটাতো স্যার গবেষণার বিষয়

‘মফিজ’ বেকার লোক। অনেকদিন ধরে চাকরির ইন্টারভিউ দিচ্ছে, কিন্ত হচ্ছেনা।
এক অফিসে ইন্টারভিউ দিতে এসে পরিচিত ‘কুদ্দুস’ এর দেখা পেল।
ঘটনাক্রমে তারা দুজনেই ওয়েটিং রুমে অপেক্ষারত। প্রথমে ইন্টারভিউ রুমে কুদ্দুস………

প্রশ্ন ১: মিস্টার কুদ্দুস, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল কখন বলতে পারেন ?
কুদ্দুস: স্যার, হওয়ার কথা ছিল ১৯৫২ সালে, কিন্তূ হয়েছে ১৯৭১ সালে।
প্রশ্ন ২: বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবির নাম বলুন ?
কুদ্দুস: অনেকেই তো আছেন, নিদ্রিষ্ট করে কার নাম বলবো স্যার ?
প্রশ্ন ৩: ঢাকা শহরে যানজটের কারণ কি বলে আপনি মনে করেন ?
কুদ্দুস: এটাতো স্যার গবেষণার বিষয়।
কুদ্দুস ইন্টারভিউ শেষে চলে যাবার সময় মফিজ জানতে চাইলো কি কি প্রশ্ন করা হয়েছে।
কুদ্দুস অন্য কোথাও যাবে তাই তিনটা প্রশ্নের উওর মফিজকে বলে তাড়াতাড়ি চলে গেল। প্রশ্ন গুলো বলা হলো না।

এবার ইন্টারভিউ রুমে মফিজ………
প্রশ্ন ১: মিষ্টার মফিজ, আপনার জন্ম কত সালে ?
মফিজ: হওয়ার কথা ছিল ১৯৫২ সালে, কিন্তূ হয়েছি ১৯৭১ সালে।
প্রশ্ন ২: (প্রশ্নকর্তা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো) আপনার পিতার নাম কি ?
মফিজ: অনেকেই তো আছেন, নিদ্রিষ্ট করে কার নাম বলবো স্যার ?
প্রশ্ন ৩: (প্রশ্নকর্তা রেগে) আপনার মাথা ঠিক আছে ?
মফিজ: এটাতো স্যার গবেষণার বিষয়।