বাপ কা বেটা

এক পুলিশের ছেলে পরীক্ষায় সব বিষয়ে আন্ডা পাইছে।
পুলিশ : হারামজাদা, অল সাবজেক্টে আন্ডা পাইছোস ! এখন তুই-ই বল, তোরে কি শাস্তি দিমু?
ছেলে : এই লও ৫০ টেকা, কেইসটা খতম কইরা দ্যাও !
হিঃ হিঃ হিঃ একেই বলে বাপ কা বেটা !!

টমি টমি

১ম ব্যক্তি : এই টমি, টমি।
২য় ব্যাক্তি : ভাই আপনি কি কুকুরকে ডাকছেন?
১ম ব্যক্তি : না না. আমার বন্ধুকে ডাকছি।
২য় ব্যাক্তি : এমন অদ্ভুত নাম – টমি!!!
১ম ব্যাক্তি : আসলে ওর আসল নাম টগর মিত্র।আমরা সব বন্ধুরা ওকে সংক্ষেপে টমি বলে।
২য় ব্যক্তি : ওহ, বড় বাচা বেচে গেছি।
১ম ব্যক্তি : কেন বাচার কি আছে।
২য় ব্যাক্তি : “কারণ আপনাদের মত বন্ধু আমার নাই।আমার নাম মাসুদ গীয়াস।

স্বর্গের দরজায় তিনজন

স্বর্গের দরজায় তিনজন লোক দাড়িয়ে আছে। ঈশ্বরের অলৌকিক বজ্রকন্ঠ ভেসে এলো। তোমাদের মধ্য থেকে কেবল একজন ভেতরে আসতে পারবে।
১ম ব্যক্তি: আমি ধর্মপূজারী। সারা জীবন আপনার গুনগান করেছি, আপনার কথা মেনে চলেছি, স্বর্গে ঢোকার অধিকার আমার সবচেয়ে বেশী। ঈশ্বর নিশ্চুপ।
২য় ব্যক্তি: আমি সমাজ সেবক, সারা জীবন আপনার সৃষ্টির সেবা করছি, তাদের দুঃখ দুর করেছি, স্বর্গে ঢোকার অধিকার আমারই বেশী। ঈশ্বর নিশ্চুপ।
৩য় ব্যক্তি: আমি সারা জীবন একটা প্রাইভেট কম্পানীতে চাকরী……….. ‘থাম’, ঈশ্বরের ধরা গলার আর্তনাদ ভেসে এলো ‘আর একটা শব্দও বলবি না….আমারে কান্দাবি নাকি পাগলা…আয় ভেতরে আয়। তোর সারা জীবন বসের ঝাড়ি খাওয়া, প্রমোশন না হওয়া, বছর শেষে বেতন না বাড়া, অফিস পলিটিক্স সামলানো, বিনা পয়সায় ওভারটাইম, রাত
করে বাড়ি ফেরা, বাসে ঝুলে আসা যাওয়ার কষ্ট, উইকইন্ডে বাসায় কাজ করা, পরিবারকে সময় না দেওয়া, সংসার চালানোর কষ্ট…..কয়টা বলবো…সেন্টিমেন্টাল করে দিলি রে পাগলা……আয় ভেতরে।

বুদ্ধিজীবী কদম আলী

চীন দেশের ভূমি ব্যবসায়ীরা ভূমি বিক্রি করছে। জয়গা বিক্রি করছে স্কয়ার ফুট হিসাবে অর্থাৎ কেউ ২০০ ফুট কিনলে সে চারদিকে যেমন ২০০ ফুট পাবে, তেমনি ওপরের দিকেও ২০০ ফুট পাবে। তারপর ওপরের দুইশ ফুট পরে অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে। চায়না বুদ্ধি আর কী! লোকেরা তার কেনা জায়গায় ঘর তোলে আর ছাদের উপর থেকে অন্য লোক ঘর করে। এভাবে চলছে।

এই কেনা থেকে বাদ গেল না বিশিষ্ট বাঙ্গালি বুদ্ধিজীবী কদম আলীও। সে জায়গা কিনল ১০০ ফুট। এরপর তার জায়গায় ৯৫ ফুট উঁচু বিল্ডিং তোলে। বাকী ৫ ফুট খালি রাখে। এতে করে অন্যরো আর কদম আলীর ঘরের উপর ঘর করতে পারে না।

হাতি আর পিঁপড়া

এক হাতি আর এক পিপড়ার মাঝে গভীর প্রেম। তো,
সমাজ তাদের এই অসম
প্রেম মেনে নেবেনা বলে তার দূরের বনে পালিয়ে গেল।
তারপর বিয়ে করে সেখানে বসবাস করতে লাগলো। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই
তাদেরসংসারে অশান্তি দেখা দিলো..
দুজনের মধ্যে সারাদিন
ঝগড়া লেগেই থাকে।
এভাবে অনেক বছর কেটেযাওয়ার পর একদিন
হাতিটা মারা গেল। এতে তো পিপড়ার খুশি হওয়ার কথা।
তা না করে পিপড়া বসে বসে কাঁদে.. তখন বনের অন্যান্য প্রাণীরা এসে জানতেচ তোমরা তো সারাদিন
ঝগড়া করতে,
এখন কাঁদছো কেন?
পিপড়া কাঁদতে- কাঁদতে উত্তরদিল ↓ ↓ ↓
.
.
.
.
.
আমার কি সর্বনাশ হলোগো!
হারামির বাচ্চা বেঁচে থাকতেও
শান্তি দেয়নি,
মরে গিয়েও শান্তি দিলনা! .
.
.
.
.
অর্ধেক জীবন গেল ঝগড়া করতে-করতে,
বাকি জীবন যাবে কবর
খুঁড়তে- খুঁড়তে . . . !!!