আমি সারেন্ডার করলাম

একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল। লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন। “আমার জমিতে ঢোকা যাবে না। আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি। লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব।
তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার। ক্ষেতের মালিক মনে মনে উকিলের উপর চটে গেলেন। তিনি বললেন, “আমাদের এদিকে ঝগড়া মীমাংসা করার ধরণ একটু ভিন্ন। আমরা ঝগড়া মীমাংসা করি তিন লাত্থি পদ্ধতিতে। উকিল বলল, “তিন লাত্থি পদ্ধতি কি?” ক্ষেতের মালিক বললেন, “প্রথমে আমি তোমাকে তিন লাথি দেব। তারপর তুমি আমাকে তিন লাথি দেবে। আবার আমি তোমাকে তিন লাথি দেব। এভাবে চলতেই থাকবে যতক্ষণ না কেউ সারেন্ডার করে।” উকিল দেখল এখন মামলা টামলা করলে অনেক সময় নষ্ট হবে, হাঁস হয়তো পাওয়া যাবে না, পাওয়া গেলেও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া এই বৃদ্ধকে সে অচিরেই হারাতে পারবে। তাই সে এই পদ্ধতিতে মীমাংসা করতে রাজি হয়ে গেল। বৃদ্ধ প্রথম লাথিটা মারলেন তার হাঁটুতে, উকিল চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল। দ্বিতীয় লাথিটা ধেয়ে এল তার নাক বরাবর, উকিল রক্তাক্ত মুখে মাটিতে শুয়ে পড়ল। তৃতীয় লাথি আঘাত করল উকিলের বুকে,উকিল ব্যথায় ককিয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেল। না, অজ্ঞান হলে তো চলবে না। উকিল তার সমস্ত শক্তি একত্র করে উঠে দাঁড়াল। বৃদ্ধকে প্রথম লাথিটা মারার ঠিক আগ মুহূর্তে বৃদ্ধ বলল, “আমি সারেন্ডার করলাম। তোমার হাঁস তুমি নিয়ে যাও।

আবুলের রচনা

একবার ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে আবুলের চোখ তো ছানাবড়া।
রচনা পড়ে গিয়েছেন ‘মাই ফ্রেন্ড’ আর প্রশ্নে এসেছে ‘মাই ফাদার’।
ভাবছে, কী করা যায়? হুম্, পেয়েছি।শুধু ফ্রেন্ডের জায়গায় ফাদার বসিয়ে দিলেই তো খেল খতম !
তো এই ভেবেই ‘আবুল’ ইংরেজিতে ‘মাই ফাদার’ রচনা লেখা শুরু করলেন এভাবে,…
‘আমার অনেক”ফাদার” আছে, কিন্তু আবদুল আমার খুব প্রিয় একজন “ফাদার”।
আমার প্রিয়”ফাদার” আবদুল প্রায়ই আমাদের বাসায় আসে।
আমার মাও আমার প্রিয় “ফাদার” আবদুল’কে খুবপছন্দ করেন।’
রচনার একদম শেষে লিখে দিলেন, ‘অসময়ের “ফাদার’ ই” প্রকৃত “ফাদার”।

দুষ্টু পিচ্চি

এক দুষ্টু পিচ্চি ছেলে এসে তার মাকে বললঃ আমরা ইস্ত্রি করি কেন?
মাঃ কোঁচকানো জিনিস প্লেইন করার জন্য।
একটু পরে পিচ্চির দাদীর রুম থেকে ভয়ংকর একটা চিৎকার শোনা গেল। পিচ্চির মা রান্নাঘর
থেকে বললঃ কি হয়েছে ??
পিচ্চি উত্তর দিল ↓↓
দাদীর গাল দুটো ইস্ত্রি করছি !

নোবেল পুরস্কারে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার

এ বছর তো দেখি নোবেল পুরস্কারের সব ক্যাটেগরিতেই বাংলাদেশিদের জয়জয়কার। এবার নোবেল ঠেকায় কে !
শান্তি – হাসিনা ও খালেদা, দেশের মানুষকে চরম শান্তিতে রাখার জন্য।
পদার্থতে- ম. খা. আলমগীর, ভবন ধসের ‘নাড়াচাড়া’ তত্ত্ব আবিস্কার করার জন্য ।
রসায়নে- আনন্ত জলিল ও বর্ষা, সেরা রসায়ন জুটি হিসেবে ।
চিকিৎসাতে- এপোলো হাসপাতাল, রুগির পেটে ৯ বছর পর্যন্ত ব্যান্ডেজ রাখতে পারার জন্য ।
অর্থনীতিতে- হলমার্ক গ্রুপ, বাংলাদেশ এর অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখার জন্য ।
সাহিত্য -তে- সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ‘কাল বিড়াল’ উপন্যাসের জন্য।

পচা ডিম

মালিকঃ আমাদের দোকানে যে পচা ডিমগুল সেগুলো কে কিনলো??
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব ।
মালিকঃ গত বছরের পাঁচ কেজি আটা?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব ।
মালিকঃ আর ঐ মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সেমাইগুলো?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেবই সবনিয়ে গেছেন ।
এমন সময় মালিকের মুখ কালো হয়ে গেল । কপাল দিয়ে ঘাম ছুটতে লাগলো ।
কর্মচারীভয় পেয়ে জিজ্ঞাস করলঃ হুজুর আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে? .
মালিক : না, লিয়াকত সাহেবের বাসায় আজ আমার সপরিবারে দাওয়াত আছে।