দামী পোশাক পরা সম্ভান্ত চেহারায় এক ভদ্রলোক ষ্টেশনের কাছে রেল – লাইনের ধারে দাঁড়ানো দুইজন গ্রাম্য লোক দেখে জিজ্ঞেস করলেন এখন কোন ট্রেন আসবে ?
স্যার এখন মালগাড়ী আইবো একজন জানালো
এরপর কোন গাড়ি আসবে ?
এরপর আইবো একটা লোকাল ট্রেন
কোন স্পেশাল ট্রেন আসবে না ?
ইসপিশায়াল তো স্যার চইলা গেছে কখন । ক্যান আপনে কই যাবেন?

যাবোনা আত্বহত্যা করতে এসেছিলাম । তা হলোনা । বুঝলেন আমার মত লোক তো আর যে সে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্বহত্যা করতে পারে না ।

মধ্যেরাতে মই ও হ্যারিকানের হাতে গ্রামের পথে একজন চৌকিদার এত রাত্রে এভাবে কোথায় যাচ্ছেন?

পথিকঃ জীবনের গেন্নাধরে গেছে তাই গলায় দড়ি দিয়ে মরতে যাচ্ছি।

চৌকিদারঃ সে কি ? তবে হ্যারিকেন কেন?

পথিকঃ বাব্বা যা সাপের উপদ্রব

চৌকিদারঃ আর মইটা

পথিকঃ গাছে উঠে দড়ি খাটানোর জন্য গাছে যে একদম চড়তে পারিনা মশাই । শেষে গিয়ে পড়ে গিয়ে পা ভাংবো।

এক ভদ্রলোক একটা মোটর গাড়ী দুঘটনার একেবারে চুরমার হয়ে গেছে । তিনি তার গাড়ী যেখানে বীমা করেছিলেন সেখানে গিয়ে টাকার দাবী করলেন । কোম্পানীর ম্যানেজার বললেন যে আপনাকে তো টাকা দেয়া হবে না । আপনাকে গাড়ীর বদলে একটা নতুন গাড়ী দেয়া হবে । ভদ্রলোক তো আৎকে ঊঠলেন । আরে আমার স্ত্রীর নামে বীমা করা , সে মরে গেলে কি আপনারা একই ব্যবস্থা করবেন ?

কটা কোম্পানী তাদের কারখানা অগ্নি- বীমা করাবে ঠিক করল । পরদিন কোম্পানীর ম্যানেজারের ঘরে বারবার বীমা দালালরা দেখা করবার জন্য আসতে লাগল । কোম্পানী ম্যানেজারে ব্যস্ত ছিল্রন তিনি আটজন দালালকে বললেন আমার সময় নেই পরে দেখা হবে । পরে ম্যানেজার বললেন উ আপনাকে নিয়ে এই নয়জন এর আগে আটজনকে না দেখে বিদায় দিয়েছে
দালাল এক গাল হেসে বললেন । আমি এই নিয়ে নবম বার এসেছি।