নাক দিয়ে ভাত খাওয়া

তিনজন বৈজ্ঞানিক প্লেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন । এরা হলেন বৃটেন , রাশিয়াও বাংলাদেশের অধিকারী । তিনজনই নিজ দেশের আবিস্কারের উপর কথায় প্রতিযোগিতা শুরু করলেন ।
বৃটেন- আমার দেশে এমন একটা জাহাজ আবিস্কৃত হয়েছে যা কি না পানির উপর দিয়ে চলে ।
অন্যদুই জন বললেন – তা নাকি?
রাশিয়া – আমাদের বৈজ্ঞানিকরা এমন একটা প্লেন আবিস্কার করেছেন যা কিনা আকাশের নীল অংশের উপর দিয়ে চলে ।
অন্যদুই জন – কি করে ?
রাশিয়া- উপর দিয়েই যায় তবে নীল অংশের দুই আঙ্গুল নীচ দিয়ে ।
বাংলাদেশ – তা আর এমন কি আমাদের দেশ তো নাক দিয়ে ভাত খাওয়া পদ্ধতি আবিস্কার করেছে ।
অন্যদুজন – এতো সাংঘাতিক আবিস্কার ।
বাংলাদেশ – হ্যাঁ তবে নাকের দুই আঙ্গুল নীচ দিয়ে ।

মুমুর্ষু ব্যক্তি এবং সম্পদ

আইনের অধ্যাপক উইল বা ইচ্ছাপত্র সর্ম্পকে বিরাট লেকচার দিয়ে ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন , এবার বলোতো উইলের ব্যাপারে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কি কি?
চট করে পেছন থেকে এক ছাত্র বললো একজন মুমুর্ষু ব্যক্তি এবং তার ধন সম্পদ স্যার।

অন্য পদ্ধতি

আফ্রিকার উন্নতশীল দেশের এক রকেট বিশেষজ্ঞ কোন একি ভোজ সভাই তার দেশ রকেট ও উপর উৎক্ষপনে কতটা অগ্রসর হয়েছে তার বিবরন দিতে গিয়ে – বুঝলেন মিসেস ওবেটু কয়েক কোটি ডলার খরচ করে আমরা এ বছরই মহাশুন্য ছটা ইদুর পাঠাচ্ছি ।
মিসেস ওবেটু – ইদুরের উৎপাত ঠেকাতে এর থেকে ঢের কম খরচে অন্য পদ্ধতি ও তো আছে ।

আয়না ভেবেছেন

ইন্টারভিউ দিতে একটি লোক বড় সাহেবের সামনে বসতেই বলে  উঠলেন আমার সামনে একটি বাদর বসেছে । লোকটি বললো আজ্ঞে মাফ করবেন – আপনি আমাকে একটি আয়না ভেবেছেন।

রেল দুঘটনা দেখবে

রেলের সিগন্যালম্যান পদের জন্য যুবক শিক্ষাথীর ইন্টারভিউর সময় প্রশ্ন করলেন
-আচ্ছা মনে কর একই লাইনে দুটো ট্রেন দু দিকে থেকে আসছে , তখন তুমি কি করবে?
– আমি তখন পয়েন্ট সিগন্যাল ঊঠিয়ে গাড়ি দুটো দাড় করার চেষ্টা করবো
– ঠিক বলেছে – ষ্টেশন মাষ্টার বলে কিন্তু মনে কর এমন কুয়াশা হয়েছে যাতে সিগন্যাল দেখায় যাচ্ছে না তখন কি করবে?
-আমি লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেন থামাবার চেষ্টা করবো
-কিন্তু তখন যদি রাত্রি হয় ?
– তাহলে আমি লন্ঠন নাড়াতে থাকব। প্রাথী উত্তর দিয়ে যাই ।
– কিন্তু ধরো তোমার লন্ঠনে তখন তেল নেই যুবকটি প্রশ্নকালে কাৎ করে ফেলবার জন্য পরীক্ষকের অসাধ্য সাধনায় প্রয়াস ।
– ধরো তোমার কাছে তখন দেশলাই নেই ।
– তাহলে আমি ছুটে গিয়ে আমার ছোট বোনটাকে ঘটনা স্থলে আনবো ।
– তোমার বোনকে কিসের জন্য ? – অবাক হয়ে জিজ্ঞেসা করলেন ।
– স্যার , আমার বোনের বহুদিনের সাধ , চোখের সামনে একটা বেশ বড় গোছের রেল দুঘটনা দেখবে ।