ভুল জায়গায়

দুই জন অন্যমনস্ক প্রফেসরকে একটি হাতুড়ে ও একটি -পেরেক দেয়া হল । একজন পেরেকের মাথা দেয়ালের দিকে দিয়ে পেটাতে আরম্ভ করল । কোন ফল হচ্ছে না দেখে তার সঙ্গীকে বললেন , যে ব্যাটা এই পেরেকটা বানিয়েছে ও বেটার নিশ্চয়ই মাথা খারাপ হয়েছ – নচেৎ পেরেকটা মাথা ভুল জায়গায় বসিয়ে রেখেছে।

বিড়িটা ধরিয়ে নেই

এক ব্যক্তির জামা কাপড়ে আগুন লেগে যায়। সে তাড়াতাড়ি পুকুররের দিকে উদ্ধশ্বাসে দৌড় দিল এবং কিনারে গিয়ে ঝাপ দিতে উদ্যত হল । সেই মুহুর্তে অন্য একজন ডাক দিল -এই যে ভাই একটু দাড়ান , আমার বিড়িটা ধরিয়ে নেই।

ইজিপ্ট ও বাংলাদেশী

একবার ইজিপ্ট ও বাংলাদেশী ছাত্রদের মধ্যে ভয়ানক তর্ক বেধেছিলো । কোন দেশের সভ্যতা তুলনায় বড় ছিল । ইজিপশিয়ন ছাত্রটি বলল – কায়রোর কাছে একটা বাগানে কুয়ো খুড়তে খুড়তে সাতশো ফুট গভীরে পাথরের স্থরের মধ্যে কি পাওয়াগিয়েছিলো জান?
বাংলাদেশী ছাত্রঃ কি?
ইজিপশিয়ন ছাত্রঃ তামা আর ইস্পাতের এক গাদা তার
বাংলাদেশী ছাত্রঃ তাতে কি প্রমানিত হলো
ইজিপশিয়ন ছাত্রঃ ইজিপ্টের পুরানো সভ্যতা এত উন্নত ছিল তাই প্রমানিত হচ্ছে নাকি ?
বাংলাদেশীঃ তার মানে ?
ইজিপশিয়ান ছাত্রঃ আমাদের সেই অতি প্রাচীন ইজিপ্টে টেলিগ্রাফ ছিল ।
বাংলাদেশী ছাত্রঃ আমাদের দেশেও রাজশাহীর কাছে একটি কুয়ো খোড়া হয়েছিলো হাজার ফুটের বেশী গভীরে গিয়ে ফাটিয়ে কিছুই পাওয়া গেল না ।
ইজিপশান ছাত্রঃ তাতে কি প্রমান হলো?
বাংলাদেশী ছাত্রঃ বাংলাদেশের পুরানো সভ্যতার চেয়ে কত বেশি উন্নত ছিল উন্নত ছিল তাই প্রমানিত হলো।
ইজিপশিয়ান ছাত্রঃ তার মানে ?
বাংলাদেশী ছাত্রঃ তার মানে আমাদের সেই অতি প্রাচীন ভারতে বেতার ছিলো।

কঁচি সিগারেটই খায়।

নিম্ন মধ্যবিত্তের পাড়ায় হঠাৎ এক বিত্তশালী পরিবার বাড়ী পরিবার বাড়ী-ঘর বানিয়ে বাস করতে এল । প্রত্যোক কথায় কাজে টাকার গরম দেখিয়ে দেখিয়ে তারা প্রতিবেশীদের সকাল – সন্ধ্যা কেবলই অবাক করে দিতএ লাগল । কোন এক দুপুর বেলায় মেয়েদের মজলিসের বড়লোক গিন্নি আসর জাকিয়ে বসে গল্প শুরু করেন

-আমার স্বামীর ভাই কেবল পাইপ টানতে চার জন লোক লাগে ।

– সে কি শুধু পাইপ খাওয়াতেই চারজন মানূষ খাটে?

– হ্যাঁ , একজন পাইপটা পরিস্কার করে , একজন তামাক ভরে তাতে , আরেকজন পাইপটি ধরিয়ে দেয়।

– এত গেক তিন জন । আরেকজন কি করে

– আরেকজন পাইপটি টানে । ওর আবার পাইপ খাওয়া সহ্য হয় না কিনা। ও তাই বরাবরের মত কঁচি সিগারেটই খায়।

কোথায় যেন দেখছি

দুই মহিলা এক জায়গায় বসে কথা বলছিলেন । কথা প্রসঙ্গে প্রথম মহিলা দ্বিতীয় জনকে বললেন – আমার স্বামী এতই আত্বভোলা যে বাজারে গেলে মাছ কিনবে তো তরকারী ভুলে আসবে , আর তরকারী কিনবে তো মাছ কিনবে না । এই কথা শুনে দ্বিতীয় মহিলা বললেন – আমার স্বামী আরো বেশী আত্বভোলা । সেদিন বাজারে করতে গিয়েছিলাম । সেখানে অফিস যাত্রী স্বামী আমাকে দেখে বললেন – কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম আপনাকে যেন আমার খুব পরিচিতি বলে মনে হচ্ছে এবং কোথায় যেন দেখছি।