জানাশোনা কোনো গর্ভবতী মেয়ে

প্রচণ্ড অলস এক লোক বড়শিতে মাছ তুলে বসে আছে।
পাশ দিয়ে একজনকে যেতে দেখে কোমল স্বরে বললেন, ভাই মাছটা একটু খুলে দেবেন?
একটু বিরক্ত হয়েও মাছটা খুলে দিলেন লোকটি। তারপর বললেন, এত অলস আপনি! এক কাজ করেন- একটা বিয়ে করেন। ছেলেপেলে হলে আপনাকে কাজে সাহায্য করতে পারবে।
উত্তর এলোঃ ভাই, আপনার জানাশোনা কোনো গর্ভবতী মেয়ে আছে?

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রবিনসন ক্রুসো

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রবিনসন ক্রুসো জাহাজডুবি হয়ে কয়েক বছর ধরে একটা দ্বীপে আটকা পড়ে আছে।

একদিন ভোরে তারা দেখতে পেলো, সৈকতে এক সুদর্শন যুবক অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, গায়ে নাবিকের পোশাক। সুস্থ হয়ে উঠে যুবক জানালো, তারও জাহাজডুবি হয়েছে। ওদিকে মিসেস ক্রুসো প্রথম দর্শনেই এই যুবকের প্রেমে পড়ে গেছে। কয়েকদিন পর সুযোগ বুঝে ঐ যুবককে প্রেম নিবেদন করলো সে।

কিন্তু রবিনসন আশেপাশে যতক্ষণ আছে, কোন কিছু করবার সুযোগ তাদের নেই। নাবিক যুবক রবিনসনকে পরামর্শ দিলো, সৈকতে একটা ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হোক। সে আর ক্রুসো ওতে চড়ে পাহারা দেবে, জাহাজ দেখতে পেলে পতাকা দিয়ে সংকেত দেবে। ক্রুসোর বেশ মনে ধরলো বুদ্ধিটা। বাঁশ দিয়ে একটা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করলো তারা।

পরদিন প্রথমে পাহারা দেয়ার পালা নাবিকের। সে টাওয়ারে চড়লো, নিচে ক্রুসো আর তার বউ গেরস্থালি কাজ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরই যুবক চেঁচিয়ে উঠলো, ‘ছি, ক্রুসো ভাই! দিনে দুপুরেই ভাবীর ওপর এভাবে চড়াও হয়েছেন। ছি ছি ছি।’ ক্রুসো নারকেল কুড়োচ্ছিলো, সে বিব্রত হয়ে ওপরে তাকিয়ে বললো, ‘কী যে বলো, আমি কোথায়, আর ও কোথায়!’

যুবক চোখ কচলে বললো, ‘ওহহো, দুঃখিত, আমার যেন মনে হলো … সরি ভাই।’ কিন্তু ঘন্টাখানেক পর আবার চেঁচিয়ে উঠলো সে, ‘না, এবার আর কোন ভুল নেই। কী ভাই, একটু অন্ধকার হতে দিন না! এভাবে জঙলিদের মতো সক্কলের সামনে … ছি ছি ছি।’

ক্রুসো আগুন ধরাচ্ছিলো, সে চটেমটে বললো, ‘চোখের মাথা খেয়েছো নাকি ছোকরা, কী দেখতে কী দেখছো!’

যুবক খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে মাথা নেড়ে লজ্জিতভাবে হাসলো। ‘ইয়ে, দুঃখিত, কিন্তু মনে হলো পষ্ট দেখলাম …।’

কিছুক্ষণ বাদে যুবকের পাহারা দেয়ার পালা শেষ হলো, এবার ক্রুসো চড়লো টাওয়ারে। কিছুক্ষণ টাওয়ারে পায়চারি করে ক্রুসোর চোখ পড়লো নিচে। সে খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে আপনমনে বললো, ‘আরে, কী তামশা, ওপর থেকে দেখলে তো মনে হয়, সত্যি সত্যি নিচে ওরা ওসব কিছু করছে!’

মেয়েদের কাউন্সেলিং

প্রশ্ন : কিভাবে বুঝবো, আমি সেক্সের জন্য প্রস্তুত কি না?

উত্তর : তোমার বয়ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞেস করে দ্যাখো। এ ব্যাপারে ছেলেরা বেশ বুঝদার। ও-ই জানবে তুমি প্রস্তুত কি না।

প্রশ্ন : প্রথম ডেট এ গিয়েই কি সেক্স করা উচিত?

উত্তর : অবশ্যই উচিত। কেন নয়? পারলে তার আগেই করা উচিত।

প্রশ্ন : সেক্সের সময় কী হয়?

উত্তর : এটা ছেলেদের ওপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখতে হবে যে তোমাকে যা করতে বলা হবে তা তুমি বিনা প্রশ্নে করে যাবে। অনেক সময় হয়তো তোমার কাছে একটু উদ্ভট লাগতে পারে ব্যাপারগুলি, কিন্তু ঐটাই দস্তুর।

প্রশ্ন : কতখন সেক্স করতে হয়?

উত্তর : এটা একেবারেই প্রাকৃতিক ব্যাপার, কাজেই লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। যতখন হওয়ার হবে। সেক্সের পর সবসময় ছেলেদের একটা প্রবণতা হচ্ছে তোমাকে ছেড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বেরিয়ে পড়ার, কিছু ব্যক্তিগত টুকটাক শেয়ার করার জন্য। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তুমি ততক্ষণে ওর ঘরদোর গুছিয়ে রাখতে পারো, জামাকাপড় ধুয়ে দিতে পারো, কিংবা ওর জন্য দামী কোন কিছু কিনতে বেরিয়ে পড়তে পারো। আবার সময় হলেই ও তোমার কাছে ফিরে আসবে।

প্রশ্ন : “পররাগ” কী?

উত্তর : সেক্সের পর এটা করতে হয়। সাধারণত ছেলেদের কিছু সময় লাগে আবার শক্তি ও জোশ ফিরে আসতে। এই ফাঁকে তুমি পররাগ করতে পারো। পররাগের মধ্যে পড়ে, ওর সিগারেট ধরিয়ে দেয়া, কিংবা ভালোমন্দ কোন নাস্তা তৈরি করে দেয়া, অথবা বেচারাকে একটু ঘুমাতে দেয়া, অথবা ওর জন্য দামি কিছু কিনতে বেরিয়ে পড়া।

প্রশ্ন : পুরুষাঙ্গের আকার কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর : অবশ্যই। অনেকে বলতে চায় যে পরিমাণ নয়, মানই সবকিছু, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। পরিমাণ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের উত্থিত অঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৩” এর কাছাকাছি। এর চেয়ে বড় কিছু অত্যন্ত দুর্লভ, এবং তোমার প্রেমিকের লিঙ্গ যদি ৫”-৬” হয়, তাহলে তোমার উচিত হবে ঈশ্বরের কাছে হাত তুলে ধন্যবাদ জানানো, এবং তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা, তাকে খুশি রাখা। তুমি তার জামাকাপড় ধুয়ে দিয়ে, ঘরদোর গুছিয়ে দিয়ে, বা ওর জন্য দামি কোন উপহার কিনে খুশি রাখার চেষ্টা করতে পারো।

প্রশ্ন : আচ্ছা, মেয়েদের অর্গাজম ব্যাপারটা কী?

উত্তর : মেয়েদের অর্গাজম? এটা আবার কী? আরে ধুর, এগুলি সব বানানো গল্প।

স্বৈরশাসক ভিলেজবাডি

স্বৈরশাসক ভিলেজবাডি একবার ছুটিতে যাবেন থাইল্যান্ডে ফূর্তি করতে। কিন্তু তাঁর বেগম ফার্স্ট লেডি ইলুমিনুকে একা রেখে যেতে ভরসা পাচ্ছিলেন না। শেষে তিনি এক ফন্দি আঁটলেন, একটা ছোট্ট গিলোটিন ফিট করে গেলেন ইলুমিনুর ওখানে। তাঁর অবর্তমানে কোন হতভাগা সেখানে প্রবেশের অপচেষ্টা করলেই কচুকাটা।

থাইল্যান্ডের সৈকতে হপ্তাখানেক ফূর্তি সেরে দেশে ফিরলেন ভিলেজবাডি। এয়ারপোর্টে তাৎকে স্বাগত জানাতে হাজির মন্ত্রীসভার সব সদস্য।

ভিলেজবাডি প্লেন থেকে নেমেই হুকুম ঝাড়লেন, “প্যান্ট খোলো। সবাই। এখুনি।”

সবাই ভয়ে ভয়ে প্যান্ট খুললো। সবার প্রত্যঙ্গ কাটা পড়েছে, শুধু উপরাষ্ট্রপতি হানিমিল্ক বাদে।

ভিলেজবাডি খুব একচোট বকাবকি করলেন সবাইকে। “নালায়েক! নমকহারাম!”

সবাই মাথা নিচু করে রইলো।

ভিলেজবাডি হানিমিল্ককে জড়িয়ে ধরলেন। “বন্ধু! তুমিই আমার একমাত্র বন্ধু। বাকি সব শুয়োর। বলো বন্ধু, কিছু বলো!”

হানিমিল্ক জড়িয়ে জড়িয়ে কী যেন বললেন, বোঝা গেলো না। ভিলেজবাডি এবার হানিমিল্কের মুখ খুলে দেখলেন, তার জিভ কাটা পড়েছে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা

একটা উপদেশ- সবসময় মানিব্যাগে আপনি আপনার স্ত্রীর ছবি রাখুন। যখনই বড়ো কোনো সমস্যায় পড়বেন তখন মানিব্যাগ বের করে স্ত্রীর ছবিটা দেখবেন, আর মনে করবেন এর চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না।