নৌকা বানা

এক বাংলাদেশী, এক ভারতীয় আর একজন পাকিস্তানী ঘুরতে বের হয়েছে আমাজনে। যেহেতু এটা একটা কৌতুক তাই আপনি এতক্ষনে বুঝে ফেলেছেন এরা ধরা পড়েছে জংলীদের হাতে। জংলীরা তিনজনকে একটা কুড়েঘরে আটকিয়ে রেখেছে। খুব চমৎকার একটা ফল খেতে দিচ্ছে তাদের। এই ফল খেয়ে তাদের চামড়া খুব মসৃন হয়ে যাচ্ছে। যেন তাদের যৌবন ফিরে আসছে। এরা তিনজনেই খুশী। এই সুখ অবশ্য বেশীদিন সইল না। একদিন সকালে জংলী সর্দার এল। এসে প্রথম ধরেছে পাকি-টাকে।
-তুমি কিভাবে মরতে চাও?
পাকিটা বলল তোমারা যে ফলটা খেতে দাও,সেই রকম মিষ্টি কোন ফল নিয়ে আস যেটা বিষাক্ত। ওটা খেয়েই আমি মরব।
তার ইচ্ছা অনুযায়ী লাল একটা ফল নিয়ে আসা হল। পাকিটা “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” বলে ফলটা খেয়ে ফেলল। তার এসে গেলো গভীর ঘুম যা আর ভাঙ্গে না। বাংগালী আর ভারতীয় দুইজন এরপর দেখল ভয়াবহ ব্যাপারগুলা।

জংলীরা পাকিটার মাথা আলাদা করে সেটাকে মমি করে রাখল । বাকি শরীরের চামড়া ছাড়াল। এরপর সেটা দিয়ে বানাল ছোট একটা ক্যানু(canoe)। এইসব দেখে ভারতীয় আর বাঙ্গালীর অবস্থা খারাপ। পনের দিন পর জংলী সর্দার আবার এল। এইবার ভারতীয়টার পালা। ভারতীয়টাও “জয় হিন্দ” বলে ফল খেয়ে মারা গেল। তার মাথার মমি করা হল, চামড়াটা দিয়ে বানানো হলো ক্যানু। কিছুদিন পরে বাঙ্গালীর পালা।

তাকে জিজ্ঞেস করা হলো কিভাবে মরবে? সে চাইলো একটা কাটা চামচ। এরপর কাটা চামচটা দিয়ে নিজের শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করতে করতে বলল,”খানকির পুত! পারলে এইবার নৌকা বানা

বায়ু

এক লোক অতি বিকট শব্দে বায়ু ত্যাগ করে। তার যেমন বিকট আওয়াজ তেমনি উৎকট গন্ধ।তার বউ বিরক্ত।
-তুমি কি এটা ইচ্ছা করেই করো নাকি?
-ইচ্ছা করে আবার করা যায়?
-কি জানি। তবে তোমার জ্বালায় ত আর থাকতে পারছি না। দেখো কমাতে পারো কিনা।

এত কথা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। পরদিন সকালেই আবার বিকট শব্দে কাজ শুরু করেছে। বউ বিরক্ত হয়ে বলল
-তুমি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছো তাতে কদিন কিন্তু পাদ দিতে গিয়ে নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে যাবে।
-তুমি কি সব কথা বলো। নাড়ি-ভুড়ি বের হবে কেনো?
-বের হবে …একশবার হবে…তুমি জোর করে এমন বিকট আওয়াজ করো।

একদিন সকালে সে অভ্যাসগত ভাবেই বিকট শব্দে ত্যাগ করছে। তার বউ আর শুয়ে থাকতে পারল না। উঠে যেতে যেতে বউয়ের মাথায় এসেছে এক বুদ্ধি। নীচে নেমে ফ্রিজ থেকে মুরগি বের করল। এরপর মুরগির নাড়ি-ভুড়ি নিয়ে এসে স্বামীর পাজামার ভিতর দিয়েছে ঢুকিয়ে। চুপ করে নেমে এলো। রান্না করতে করতে দুই কান খাড়া করে রাখছে সে। কখন তার স্বামী চিৎকার করে ঊঠবে।

কিছুক্ষন পর যথারীতি এক চিৎকার। বউয়ের মুখটা আনন্দে ভরে গেছে। এইবার হইছে উচিত শিক্ষা।

আধা ঘন্টা পর নেমে এসেছে জামাই। এসেই বলে
-ও বউ ,তুমি ঠিকই বলেছিলে। এতো জোরে পাদ দেয়া ঠিক না । আজকে সকালেই পাদ দিয়ে ত নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল আমার।
-তাই নাকি?
-তবে বলছি কি আর। তবে খোদার রহমতে, একটু চেষ্টা করে সমস্তটা আবার ভিতরে ভরে ফেলতে পারছি।

ডাকাতি

উকিলঃ তুমি দোকানে ঢুকে একটামাত্র জামা চুরি করলে কেন? অনেক জামাকাপড় তো নিতে পারতে।
আসামীঃভুল হয়ে গেছে স্যার,আসলে চুরি চামারী তো কোনদিন করিনি।
উকিলঃতাহলে জেলার সবকটা থানায় তোমাকে দাগি আসামী বলে উল্লেখ করা আছে কেন?
আসামীঃ আমি চুরি করি না বলেছি, ডাকাতি করি না, একথা তো বলিনি, স্যার।

পাঁচশো বছরের পুরোন

গৃহকর্তাঃ হায়,হায়, পাঁচশো বছরের পুরোন ফুলদানিটা ভেঙে ফেললেন?
অতিথিঃ যাক বাবা বাঁচা গেল, আমি ভেবেছিলাম জিনিষটা নতুন বুঝি।

ইঞ্জিনিয়ার-ভিখারী

রামবাবুঃ আমার তিন ছেলে, তারমধ্যে দুজন ইঞ্জিনিয়ার। ছোটটি মোটেও ভাল পড়াশোনা করেনি,তাই
সে ভিখারী।
শ্যামবাবুঃ তা ছোটটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন না কেন?
রামবাবুঃ কি বলছেন মশাই, একমাত্র ওটিই তো ভাল আয় করে।