মফিজের ইনটারভিউ

‘মফিজ’ বেকার লোক। অনেকদিন ধরে চাকরির ইন্টারভিউ দিচ্ছে, কিন্ত হচ্ছেনা
এক অফিসে ইন্টারভিউ দিতে এসে পরিচিত ‘কুদ্দুস’ এর দেখা পেল।
ঘটনাক্রমে তারা দুজনেই ওয়েটিং রুমে অপেক্ষারত। প্রথমে ইন্টারভিউ রুমে কুদ্দুস………
প্রশ্ন ১: মিস্টার কুদ্দুস, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল কখন বলতে পারেন ?
কুদ্দুস: স্যার, হওয়ার কথা ছিল ১৯৫২ সালে, কিন্তূ হয়েছে ১৯৭১ সালে।
প্রশ্ন ২: বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবির নাম বলুন ?
কুদ্দুস: অনেকেই তো আছেন, নিদ্রিষ্ট করে কার নাম বলবো স্যার ?
প্রশ্ন ৩: ঢাকা শহরে যানজটের কারণ কি বলে আপনি মনে করেন ?
কুদ্দুস: এটাতো স্যার গবেষণার বিষয়।
কুদ্দুস ইন্টারভিউ শেষে চলে যাবার সময় মফিজ জানতে চাইলো কি কি প্রশ্ন করা হয়েছে।
কুদ্দুস অন্য কোথাও যাবে তাই তিনটা প্রশ্নের উওর মফিজকে বলে তাড়াতাড়ি চলে গেল। প্রশ্ন গুলো বলা হলো না।

এবার ইন্টারভিউ রুমে মফিজ………
প্রশ্ন ১: মিষ্টার মফিজ, আপনার জন্ম কত সালে ?
মফিজ: হওয়ার কথা ছিল ১৯৫২ সালে, কিন্তূ হয়েছি ১৯৭১ সালে।
প্রশ্ন ২: (প্রশ্নকর্তা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো) আপনার পিতার নাম কি ?
মফিজ: অনেকেই তো আছেন, নিদ্রিষ্ট করে কার নাম বলবো স্যার ?
প্রশ্ন ৩: (প্রশ্নকর্তা রেগে) আপনার মাথা ঠিক আছে ?
মফিজ: এটাতো স্যার গবেষণার বিষয়।

বড় মাছ ধরেছি

ভদ্রমহিলা: খোকা, তোমার বাবা কী করেন?
শিশু: আমার বাবা একজন মৎস্যশিকারি।
ভদ্রমহিলা: কিন্তু আমি তো শুনেছি, তোমার বাবা একজন শেয়ার ব্রোকার।
শিশু: না, না! আমি যতবার বাবার অফিসে গেছি, দেখেছি, বাবা কারও সাথে ফোনে কথা বলছেন আর বিগলিত হাসি হেসে বলছেন, ‘স্যার, আরেকটা বড় মাছ ধরেছি!’ 😛

বাসায় কেউ নেই

রাজধানীতে দুপুরে এক ফ্লাট বাসায় কেউ নেই। এক ভদ্র মহিলা কাপড় চোপড় খুলে গোসল করছেন।এমন সময় বাসার কলিং বেল বাজল। মহিলা ভাবলো, এমন দুপুর বেলায় কারও আসার কথা নয়। নিশ্চয় ফকির এসেছে। শরীর ভিজিয়েছি আবার কাপড় পড়বো? আচ্ছা কাপড় ছাড়াই লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখি কে? যদি ফকির হয় তাহলে ভিতর থেকেই না করে দিবো ভিক্ষা দেওয়া যাবে না। মহিলা দরজার ফুটা দিয়ে দেখেন, ফকির নয়, এসেছে পাশের বাসার অন্ধ ছেলে রাজু। মহিলা ভাবলেন, কাপড় গায়ে নেই, অন্ধ রাজুর সাথে দরজা খুলে কথা বললেও সমস্যা কি? ও তো আর দেখবে না আমি ল্যাংটা। দরজা খুলে-

মহিলাঃ কি ব্যাপার রাজু তুমি এই দুপুর বেলায়, আবার তোমার হাতে মিষ্টিও দেখছি? ভিতরে আস।
অন্ধ রাজুঃ জী খালাম্মা, এই মিষ্টিগুলো রাখেন, আম্মা পাঠিয়েছে।
মহিলাঃ কি কারনে মিষ্টি রাজু? অন্ধ রাজুঃ খালাম্মা আমি আজ সকাল থেকে দেখতে পাচ্ছি।

রোমাঞ্চকর ডেটিং

তিন টিনএজ বান্ধবী এক সাথে এক ফ্ল্যাটে থাকে। একি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। পরের শনিবার থেকে তাদের পরবর্তী সেমিস্টার শুরু হবে। তাই শুক্রবার দিন তিন বান্ধবী একসাথে ডেটিং এ বেড় হলো। সারাদিন ডেটিং করার পর কাকতালীয় ভাবে সন্ধ্যায় এক সাথে তিনজন বাসায় ফিরলো।

প্রথম এক বান্ধবী উৎফুল্ল ভাবে অপর দুইজনকে বলল- “রোমাঞ্চকর ডেটিং হচ্ছে বাসায় ফিরে যখন দেখবে তোমার পরিপাটি চুল এবড়ানো থেবড়ানো, নিজেকে আয়নায় দেখলে পাগলীনি মনে হবে সেটা।”

দ্বিতীয় বান্ধবী প্রথম বান্ধবীর উপর লাফ দিয়ে পরে বলল- “হলো না, সব চেয়ে রোমাঞ্চকর ডেটিং হচ্ছে বাসায় ফিরে যখন দেখবে তোমার সুন্দর ম্যাকাপ নিঃশেষ হয় গেছে, তোমার ঠোঁটে লিপস্টিকের লেশ মাত্র নেই।”

তৃতীয় বান্ধবী চুপ করে বসে বসে তাদের কথা শুনছিলো। কোন কথা বলছিলো না। অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর নিজের অন্তবাস খুলে দেয়ালের দিকে ছুরে মেরে বলল – “সব চেয়ে রোমাঞ্চকর ডেটিং একেই বলে।”

বড় মাছ ধরেছি

ভদ্রমহিলা: খোকা, তোমার বাবা কী করেন?
শিশু: আমার বাবা একজন মৎস্যশিকারি।
ভদ্রমহিলা: কিন্তু আমি তো শুনেছি, তোমার বাবা একজন শেয়ার ব্রোকার।
শিশু: না, না! আমি যতবার বাবার অফিসে গেছি, দেখেছি, বাবা কারও সাথে ফোনে কথা বলছেন আর বিগলিত হাসি হেসে বলছেন, ‘স্যার, আরেকটা বড় মাছ ধরেছি!’ 😛