আম জামের রস

এক দম্পতি রাতের ট্রেনে বেড়াতে যাচ্ছেন। ফার্স্টক্লাস বগি। দুতলা সিটের উপরের তলার টিকেট কেটেছেন। রাত দশটায় ট্রেন ছাড়ল। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তাদের সিটে উঠে বসলেন। নিচের সিটে আরেক ভদ্রলোক বসেছেন। রাত একটু গভীর হতেই সবাই নিজ নিজ সিটে শুয়ে পড়ল। দম্পতি শুয়ে শুয়ে গল্প করতে করতে এক সময় শারীরিকভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। স্ত্রী কাপড়-চোপড় খুলতে উদ্দত হলে স্বামী বাধা দিয়ে বললেন, ‌”না, তুমি আহ্, উহ্ শব্দ কর। এটা বাসা না; ট্রেন। আমরা কী করছি সবাই বুঝে ফেলবে।”
স্ত্রী আহত কণ্ঠে বললেন, “তাহলে? আজ আমাদের হবে না?”
“হবে। যদি তুমি আহ্, উহ্ শব্দ না করে আম জাম বল তাহলে হবে। ট্রেনের কেউ সন্দেহ করবে না।”
“ঠিক আছে, তা-ই হবে।”

দুজনেই গভীর রাত পর্যন্ত ফুর্তি করলেন। স্ত্রী আহ্, উহ্ না করে আম জাম বলে তার আনন্দ প্রকাশ করলেন। সকালে স্বামী ঘুম থেকে উঠে নিচে নেমে নিচের সিটের ভদ্রলোককে ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করলেন, “ভাই, রাতে ভাল ঘুম হয়েছে?”
ভদ্রলোক হতাশ কণ্ঠে বলরেন, “ভাই ঘুম ভাল হবে কীভাবে বলুন? আপনারা স্বামী-স্ত্রী সারা রাত আম জাম খেলেন আর সকল রস আমার উপর ফেললেন!”

চেয়ার কম

এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই পৌঁছে যান একদম ঠিক সময়ে।
বসকে বললেন তাঁর এক বন্ধু, ‘তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তাঁরা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?’
বস হাসতে হাসতে বললেন, ‘জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!’

বসের কৌতুক

একদিন দুপুরে বসের মুড বেশ ভালো। সে কর্মচারীদের একের পর এক কৌতুক শোনাচ্ছিল। কর্মচারীরাও হাসছিল হো হো করে। শুধু হাসছিলেন না এক মহিলা।
বস বললেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি হাসছ না কেন?’
মহিলা: আমি কাল চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার অত হাসাহাসি না করলেও চলবে।

চুলকানি

দুয়ারে নতুন বছর। ভাগ্যের হালচালটা জেনে নিতে হাবলু হানা দিল এক জ্যোতিষবাবার আস্তানায়। বলল, ‘বাবা, কদিন হলো ডান হাতটা খুব চুলকাচ্ছে। কিসের লক্ষণ বলুন তো?’
জ্যোতিষবাবা: হুম্! তোর ওপর মঙ্গলের প্রভাব রয়েছে। আসছে বছর তোর হাতে প্রচুর টাকা আসবে।
হাবলু: বাবা, আমার বাঁ হাতের তালুও চুলকায়।
জ্যোতিষবাবা: বলিস কী? তোর তো বিদেশযাত্রা শুভ!
হাবলু: (খুশিতে গদগদ হয়ে) বাবা, আমার ডান পা’টাও কিন্তু একটু একটু চুলকাচ্ছে।
জ্যোতিষবাবা: দূর ব্যাটা, তোর চুলকানি আছে। ডাক্তার দেখা।

মুরগি

মাথায় খাঁচাভর্তি মুরগি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল চাষিপুত্র। এমন সময় খাঁচাটা মাথা থেকে পড়ে ভেঙে গেল, মুরগিগুলোও ছাড়া পেয়ে সব এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করল। বহু কষ্টে সবগুলো মুরগি ধরে খাঁচার ভেতরে ঢুকাল চাষিপুত্র। ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরল। চাষি বললেন, ‘কী রে, ফিরে এলি কেন?’
চাষিপুত্র: ইয়ে মানে, আব্বা, যাওয়ার পথে খাঁচাটা ভেঙে মুরগিগুলো বেরিয়ে গিয়েছিল। অবশ্য আমি ১১টা মুরগিই ধরে ফেলেছি, কোনোটাই পালাতে পারেনি।
চাষি: শাবাশ ব্যাটা! তুই সাতটা মুরগি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলি!