সুটকেস

ছেলে মাতাল হয়ে ঘরে ঢুকেছে। বাপের ডর নাই এমন ছেলে খুব কমই দেখা যায়। বাপকে এড়ানোর জন্য চুপিচুপি বাসায় ঢুকে ল্যাপটপ নিয়া বসেছে। বুঝা যাচ্ছে, অনেক ব্যস্ত মানুষ!
বাবা: তুমি কি মদ খেয়েছ??
ছেলে: আরে না। তুমি কী যে বলো না বাবা!
বাবা: তাইলে তুমি আমার সুটকেস নিয়া কী করতাছো?!

আপনি কি রোম্যানটিক

ছেলেপক্ষ গেছে মেয়েপক্ষের বাড়িতে। কথা বার্তার এক পর্যায়ে ছেলে মেয়েকে একান্তে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হল।
মেয়ে: তো, কি সিদ্ধান্ত নিলেন?
ছেলে: সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার একটা ইচ্ছা আছে।
মেয়ে: কি ইচ্ছা?
ছেলে: আপনার সাথে একবার বৃষ্টিতে ভিজবো।
মেয়ে: উফফ! আপনি কি রোম্যানটিক!
ছেলে: ইয়ে, আসলে ব্যাপার সেইটা না।
আপনি যেই পরিমান ময়দা মেখেছেন, বৃষ্টিতে না ভিজলে আপনার আসল চেহারা দেখা যাবেনা।

আমি সারেন্ডার করলাম

একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল। লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন। “আমার জমিতে ঢোকা যাবে না। আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি। লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব।
তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার। ক্ষেতের মালিক মনে মনে উকিলের উপর চটে গেলেন। তিনি বললেন, “আমাদের এদিকে ঝগড়া মীমাংসা করার ধরণ একটু ভিন্ন। আমরা ঝগড়া মীমাংসা করি তিন লাত্থি পদ্ধতিতে। উকিল বলল, “তিন লাত্থি পদ্ধতি কি?” ক্ষেতের মালিক বললেন, “প্রথমে আমি তোমাকে তিন লাথি দেব। তারপর তুমি আমাকে তিন লাথি দেবে। আবার আমি তোমাকে তিন লাথি দেব। এভাবে চলতেই থাকবে যতক্ষণ না কেউ সারেন্ডার করে।” উকিল দেখল এখন মামলা টামলা করলে অনেক সময় নষ্ট হবে, হাঁস হয়তো পাওয়া যাবে না, পাওয়া গেলেও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া এই বৃদ্ধকে সে অচিরেই হারাতে পারবে। তাই সে এই পদ্ধতিতে মীমাংসা করতে রাজি হয়ে গেল। বৃদ্ধ প্রথম লাথিটা মারলেন তার হাঁটুতে, উকিল চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল। দ্বিতীয় লাথিটা ধেয়ে এল তার নাক বরাবর, উকিল রক্তাক্ত মুখে মাটিতে শুয়ে পড়ল। তৃতীয় লাথি আঘাত করল উকিলের বুকে,উকিল ব্যথায় ককিয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেল। না, অজ্ঞান হলে তো চলবে না। উকিল তার সমস্ত শক্তি একত্র করে উঠে দাঁড়াল। বৃদ্ধকে প্রথম লাথিটা মারার ঠিক আগ মুহূর্তে বৃদ্ধ বলল, “আমি সারেন্ডার করলাম। তোমার হাঁস তুমি নিয়ে যাও।

আবুলের রচনা

একবার ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে আবুলের চোখ তো ছানাবড়া।
রচনা পড়ে গিয়েছেন ‘মাই ফ্রেন্ড’ আর প্রশ্নে এসেছে ‘মাই ফাদার’।
ভাবছে, কী করা যায়? হুম্, পেয়েছি।শুধু ফ্রেন্ডের জায়গায় ফাদার বসিয়ে দিলেই তো খেল খতম !
তো এই ভেবেই ‘আবুল’ ইংরেজিতে ‘মাই ফাদার’ রচনা লেখা শুরু করলেন এভাবে,…
‘আমার অনেক”ফাদার” আছে, কিন্তু আবদুল আমার খুব প্রিয় একজন “ফাদার”।
আমার প্রিয়”ফাদার” আবদুল প্রায়ই আমাদের বাসায় আসে।
আমার মাও আমার প্রিয় “ফাদার” আবদুল’কে খুবপছন্দ করেন।’
রচনার একদম শেষে লিখে দিলেন, ‘অসময়ের “ফাদার’ ই” প্রকৃত “ফাদার”।

দুষ্টু পিচ্চি

এক দুষ্টু পিচ্চি ছেলে এসে তার মাকে বললঃ আমরা ইস্ত্রি করি কেন?
মাঃ কোঁচকানো জিনিস প্লেইন করার জন্য।
একটু পরে পিচ্চির দাদীর রুম থেকে ভয়ংকর একটা চিৎকার শোনা গেল। পিচ্চির মা রান্নাঘর
থেকে বললঃ কি হয়েছে ??
পিচ্চি উত্তর দিল ↓↓
দাদীর গাল দুটো ইস্ত্রি করছি !