স্ত্রী: আমার সাথে ১০ বছর সময় কাটানো তোমার কাছে কি?
স্বামী: আরে সে ১ সেকেন্ড মনে হয়। চোখের পলকে কেটে গেল প্রিয়ে…
স্ত্রী: (খুশি হয়ে) আমার জন্য ১০,০০০ টাকা তোমার জন্য কি?
স্বামী: আরে সেত ১ টাকার মত। কোন ব্যাপারই না।
স্ত্রী: (ততধিক খুশি হয়ে)তা জানু আমাকে ১০,০০০ টাকা দিতে পারবে এখন?
স্বামী: (গম্ভির হয়ে) দাড়াও এক সেকেন্ড পরে দেই।
Category: স্বামী-স্ত্রী
Nov 13
দাড়াও এক সেকেন্ড পরে দেই
Nov 12
তার স্ত্রীকে দেখতে পেল
একজন লোক শুক্রবার অফিসে গিয়েছে। সেদিন মাইনে পাওয়ার দিন । মাইনে পেয়েই লোকটি ঠিক করল যে সে একেবারে উইকএন্ড পার্টি করে কাটিয়ে তবে বাড়ি ফিরবে। যথারীতি রবিবার রাতে বাড়ি ফিরে সে দেখল স্ত্রী রেগে বোম হয়ে আছে। বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই প্রশ্ন ” তোমার কেমন লাগবে যদি তুমি আমাকে দু-তিন দিন দেখতে না পাও ?”
স্ত্রীর কাছে কিছুতেই হারবে না বলে মনস্থ করা লোকটি বলল ” আমার কোন প্রবলেম হবে না”।
সোমবার কেটে গেল সে বউকে দেখতে পেল না… মঙ্গলবার,বুধবার কেটে গেল সে বউকে দেখতে পেল না।
অবশেষে বৃহস্পতিবার সে তার ফুলে ঢোল হওয়া দুটি চোখের মধ্যে একটি কোনরকমে খুলে তার স্ত্রীকে দেখতে পেল…
Nov 12
নিজের কম্বল নিজে নিয়ে নিন
একটি আন্তর্মহাদেশীয় ট্রেনে এক ব্যক্তি আর এক মহিলা একই কম্পার্টমেন্টে শোওয়ার জায়গা পেয়েছেন। প্রথমে কিছুক্ষণ উসখুস করলেও দুজনেই খুব ক্লান্ত থাকায় অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। ভদ্রলোক উপরের বার্থে আর ভদ্রমহিলা নীচের বার্থে।
মাঝরাতে হঠাৎ ভদ্রলোকের ঘুম ভাংল। তিনি একটু ইতস্তত করে ভদ্রমহিলাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললেন ” দেখুন কিছু মনে করবেন না , আমার এত ঠান্ডা লাগছে, আপনি কি দয়া করে আমার সুটকেস থেকে একটা কম্বল বার করে আমায় দেবেন ?”
ভদ্রমহিলা উত্তরে বললেন ” আমার আরো একটা ভালো আইডিয়া আছে। আজকের রাতের জন্য মনে করি না আমরা স্বামী আর স্ত্রী?”
ভদ্রলোক খুব অবাক আর মনে মনে খুব খুশি হয়ে বললেন ” ওয়াও!!! দারুণ আইডিয়া!! তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?”
“উঠুন আর নিজের কম্বল নিজে নিয়ে নিন। “
Nov 12
সবচেয়ে বড় সমস্যা
একটা উপদেশ- সবসময় মানিব্যাগে আপনি আপনার স্ত্রীর ছবি রাখুন। যখনই বড়ো কোনো সমস্যায় পড়বেন তখন মানিব্যাগ বের করে স্ত্রীর ছবিটা দেখবেন, আর মনে করবেন এর চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না।
Nov 12
২০তম বিবাহবার্ষিকী
মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই। বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন।
বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীপ্রবরকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর কোনো চিন্তায় মগ্ন। মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।
‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী। ‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’
স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল। খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট করতে শুরু করেছিলাম। তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’
স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’
স্বামী একটু থেমে বললেন, ‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’
‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।
স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি।’
স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।’
স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, ‘আজকে আমি জেল থেকে ছাড়া পেতাম।’