Category: পাঁচমিশালী

কিরে দোস্ত, মন খারাপ কেন?

এক বন্ধুর মন খুব খারাপ। অন্য বন্ধু তাই দেখে কথা বলছেঃ
১ম বন্ধুঃ কিরে দোস্ত, মন খারাপ কেন? ওঃ তোর বউ সেই যে বাপের বাড়ি গেল, এখনও আসেনি, তাই?
২য় বন্ধুঃ নারে দোস্ত, আজকে তার ফিরে আসার কথা!

৬৪ দাতঁ

এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে রাগতভাবে বলছে,”আর একটা ফালতু কথা বলবি,থাপ্পড় দিয়ে তোর ৬৪ দাতঁ ফেলে দেবো।”
সেটা শুনে তাদের আরেকটা বন্ধু বলে উঠল, “দুস্তো,আগে জানতাম,মানুষের দাত থাকে খুব বেশি হলে ৩২ টা,আর তুই কিনা তাকে বলছিস,”থাপ্পড় দিয়ে তোর ৬৪ দাতঁ ফেলে দেবো???”
তখন ১ম বন্ধু ৩য় জনকে বলল,”আমি আগেই জানতাম তুই মাঝখানে এসে নাক গলাবি,তাই তোরটা সহ হিসাব করে বলেছি।”

দুইশ কিন্তু আমার

তোতা পাখি কেনার জন্যে এক ক্রেতা সুন্দর একটা পাখির দোকানে গেলেন।

ভাই, ভাল একটা তোতা পাখি দেখান তো।

এটা নিয়ে যান। এই পাখি গান করে, আবৃত্তি করে, এমনকি গ্রবন্ধও কিছু-কিছু মুখস্থ করে রেখেছে।

তাই নাকি? তা হলে তো ভালোই। দাম কত?

: ছয় শ’ টাকা।

ঠিক আছে, দেন।

কিন্তু বাড়ি আনার পর তোতা পাখিটা টু শব্দ পর্যন্ত করলো না। তিন সপ্তাহ পার হল, তবুও না। বিরক্ত হয়ে ক্রেতা পাখিটা দোকানে ফেরত নিয়ে গেলেন। কিন্তু মালিক পাখি ফেরত নিবেন না। বললেন, দেখুন, আমি যে পাখিটা দিয়েছিলাম সেটা গান, আবৃত্তি সবই পারত। যেটা ফেরত দিতে এসেছেন এটাতো কথাই বলতে পারেনা। তবু আপনি যখন বলছেন পাখিটা আমি ফেরত নেব, কিন্তু এক শ’ টাকার বেশি দিতে পারবো না।

ক্রেতা বাধ্য হয়ে একশ টাকাতেই পাখি ফেরত দিয়ে দিলেন। দোকান থেকে বের হওয়ার সময় শুনতে পেলেন তোতা পাখিটা বলছে-পাঁচশ টাকার মধ্যে দুইশ কিন্তু আমার!!!

গাধা দেখেছিস?

দুই বন্ধুর ঝগড়া লেগেছে। রাগে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে বলল,

: তুই কি জানিস? তুই তো একটা গাধা।

: তুই কি কোনদিন গাধা দেখেছিস?

: অবশ্যই। এইতো আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

নোয়াখাল্লাগোর জাত

নোয়াখালির এক লোক আমেরিকা যাচ্ছিল। প্লেন আফ্রিকা মহাদেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিকল হয়ে সোজা গিয়ে ব্লাস্ট হলো একেবারে গহীন জঙ্গলে। সবাই মারা পরলো।ভাগ্যক্রমে শুধুমাত্র বেচেগেল সেই নোয়াখালির লোকটা। অনেক চেষ্টা করেও পথ খুজে না পেয়ে সে সেই জঙ্গলেই থাকতে শুরু করলো। তারপর অনেক বছর কেটে গেল। নোয়াখালির লোকটি চেহারা চালচলন পুরাপুরি জঙ্গলি হয়ে গেছে। মানুষ হিসাবে তাকে আর চেনা যায় না। ঠিক এসময় আমেরিকার একদল গবেষক ঐ জঙ্গলে গেল কোন এক গবেষনার কাজে এবং ঘটনাক্রমে সেই লোকটি তাদের সামনে পরে গেল। তারা তাকে নতুন ধরনের কোন জন্তু মনে করে সাথেসাথে বেধে নিয়ে এলো সোজা আমেরিকার এক চিরিয়াখানায়। আমেরিকায় বেশ ঢাকঢোল পরে গেল নতুন জন্তুর ব্যাপারে। দলেদলে লোক চিরিয়াখানার তার ঘরের সামনে ভীর করতে লাগলো।এরমধ্যে একজন দুষ্ট লোক তার পেটে একটা খোচা মেরে বসলো। সাথে সাথে সেই নোয়াখালির লোক বলল ” আই কি করছি ।
তার কথা শুনে লোকজন খুবই মজা পেল। জন্তুটার পেটে খোচা মারলে কি যেন বলে দেখি।
তারপর চিরিয়াখানায় যত লোক যায় সবাই ঐ ঘরে গিয়ে তার পেটে একটা করে খোচা মারে আর সে বলে ” আই কি করছি” “আই কি করছি”।
এই অবস্হা চলছিলো। একদিন প্রবাসী এক নোয়াখালির ভদ্রলোক সেই জন্তুটি দেখতে গেল। সবার মতো সেও তার পেটে একটা খোচা মারলো সাথে সাথে শুনলো সেই একই কথা ” আই কি করছি”।

তখন নোয়াখালির প্রবাসী ভ্দ্রলোক বুঝতে পারলো ঘটনা আর বলল, ” শালা, তুই কিছ্ছু করস নই , খালি নোয়াখাল্লাগোর জাত মারছস।