নোয়াখাল্লাগোর জাত

নোয়াখালির এক লোক আমেরিকা যাচ্ছিল। প্লেন আফ্রিকা মহাদেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিকল হয়ে সোজা গিয়ে ব্লাস্ট হলো একেবারে গহীন জঙ্গলে। সবাই মারা পরলো।ভাগ্যক্রমে শুধুমাত্র বেচেগেল সেই নোয়াখালির লোকটা। অনেক চেষ্টা করেও পথ খুজে না পেয়ে সে সেই জঙ্গলেই থাকতে শুরু করলো। তারপর অনেক বছর কেটে গেল। নোয়াখালির লোকটি চেহারা চালচলন পুরাপুরি জঙ্গলি হয়ে গেছে। মানুষ হিসাবে তাকে আর চেনা যায় না। ঠিক এসময় আমেরিকার একদল গবেষক ঐ জঙ্গলে গেল কোন এক গবেষনার কাজে এবং ঘটনাক্রমে সেই লোকটি তাদের সামনে পরে গেল। তারা তাকে নতুন ধরনের কোন জন্তু মনে করে সাথেসাথে বেধে নিয়ে এলো সোজা আমেরিকার এক চিরিয়াখানায়। আমেরিকায় বেশ ঢাকঢোল পরে গেল নতুন জন্তুর ব্যাপারে। দলেদলে লোক চিরিয়াখানার তার ঘরের সামনে ভীর করতে লাগলো।এরমধ্যে একজন দুষ্ট লোক তার পেটে একটা খোচা মেরে বসলো। সাথে সাথে সেই নোয়াখালির লোক বলল ” আই কি করছি ।
তার কথা শুনে লোকজন খুবই মজা পেল। জন্তুটার পেটে খোচা মারলে কি যেন বলে দেখি।
তারপর চিরিয়াখানায় যত লোক যায় সবাই ঐ ঘরে গিয়ে তার পেটে একটা করে খোচা মারে আর সে বলে ” আই কি করছি” “আই কি করছি”।
এই অবস্হা চলছিলো। একদিন প্রবাসী এক নোয়াখালির ভদ্রলোক সেই জন্তুটি দেখতে গেল। সবার মতো সেও তার পেটে একটা খোচা মারলো সাথে সাথে শুনলো সেই একই কথা ” আই কি করছি”।

তখন নোয়াখালির প্রবাসী ভ্দ্রলোক বুঝতে পারলো ঘটনা আর বলল, ” শালা, তুই কিছ্ছু করস নই , খালি নোয়াখাল্লাগোর জাত মারছস।

Leave a Reply

Your email address will not be published.