চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।

ছোট্ট বাবুকে প্রশ্ন করলেন মিস, ‘ছোট্ট বাবু, বলো তো দেখি, তোমার বাড়ির পাশের পুকুরে তিনটা হাঁস ভাসছে। যদি তুমি একটাকে শটগান দিয়ে গুলি করো, কয়টা থাকবে?’

বাবু খানিকটা ভেবে বললো, ‘উমম, তাহলে গুলির শব্দ শুনে সব উড়ে চলে যাবে, একটাও থাকবে না।’

মিস হেসে বললেন, ‘উঁহু, ছোট্ট বাবু, তিনটার মধ্যে একটাকে গুলি করলে বাকি থাকবে দুটো। কিন্তু তোমার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’

বাবু মুচকি হেসে বললো, ‘তাহলে মিস, আমি একটা প্রশ্ন করি। বলুন তো, আইসক্রীম পার্লার থেকে তিন মহিলা বের হয়েছে কোওন আইসক্রীম কিনে। একজন আইসক্রীম কামড়ে খাচ্ছে, একজন চেটে খাচ্ছে, আরেকজন চুষে খাচ্ছে। এদের মধ্যে কে বিবাহিত?’

মিস খানিকটা ভেবে বললেন, ‘ইয়ে, মানে বাবু, আমার মনে হয় শেষের জন।’

বাবু বললো, ‘উঁহু মিস, এদের মধ্যে যার হাতে বিয়ের আঙটি আছে, সে-ই বিবাহিত, কিন্তু আপনার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’

এ-ই শেষবার, বলে দিচ্ছি!’

পার্কে একটা বিরাট কুকুর নিয়ে বসে আছে বাবু। এক তরুণী যাচ্ছিলো পাশ দিয়ে, দাঁড়িয়ে বললো, ‘বাহ, বেশ তো কুকুরটা!’

বাবু হাসলো। ‘হ্যাঁ। খুব রোমান্টিক ও। আর মেয়েরা তো ওকে খুব পছন্দ করে, দারুণ সেক্স করতে পারে কি না।’

তরুণীর চোখে আগ্রহ ফুটলো। ‘তাই?’ ফিসফিস করে জানতে চাইলো সে।

বাবু বললো, ‘হ্যাঁ, দেখতে চান? চলুন আমার বাসায়।’

বাড়ি ফিরে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে নিজের ঘরে এলো সে। মেয়েটাকে জামাকাপড় খুলতে বলে সে কুকুরটার দিকে ফিরলো, ‘কালু, এই আপুটাকে আদর করো তো!’

কালুর কোন ভাবান্তর হলো না।

বাবু আবার হুকুম দিলো, তবুও সে গ্যাঁট হয়ে বসে রইলো।

এবার বাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্যান্ট খুলতে খুলতে বললো, ‘ঠিক আছে, কালু, তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে কী করতে হবে, কিন্তু এ-ই শেষবার, বলে দিচ্ছি!’

ওফ, আমি ওঁকে খুবই মিস করি!’

চতুর্থ বিয়ের পর টিনা গেছে হানিমুনে।

প্রথম রাতে স্বামীকে বলছে সে, ‘প্লিজ, ধীরে, আমি কিন্তু এখনো কুমারী।’

টিনার স্বামী ঘাবড়ে গিয়ে বললো, ‘কিন্তু তুমি তো আগে তিনবার বিয়ে করেছো!’

টিনা বললো, ‘হ্যাঁ। কিন্তু শোনোই না। আমার প্রথম স্বামী ছিলেন একজন গাইনোকলজিস্ট, আর তিনি শুধু ওখানে তাকিয়ে থাকতে পছন্দ করতেন। দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন একজন সাইকিয়াট্রিস্ট, তিনি শুধু ওখানকার ব্যাপারে কথা বলতে পছন্দ করতেন। আর আমার তৃতীয় স্বামী ছিলেন একজন স্ট্যাম্প কালেক্টর — ওফ, আমি ওঁকে খুবই মিস করি!’

বেজন্মাই যথেষ্ঠ।’

এক পুলিশ ছুটিতে বেড়াতে গেছে দূরে এক পল্লী গাঁয়ে।

সেখানে কয়েকদিন কাটানোর পরই স্থানীয় স্কুলমাস্টারের মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলো সে। তাদের প্রেম বেশ ঘন হয়ে উঠেছে, এমন সময় তার ছুটি শেষ হয়ে গেলো, শহরে ফিরে এলো সে।

কিন্তু মাসকয়েক পর আবার এক ছুটিতে সেই গাঁয়ে ফিরে গেলো পুলিশ। প্রেমিকার খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলো, সে প্রেগন্যান্ট। প্রেমিকা জানালো, এ তারই ঔরসজাত শিশু।

আনন্দিত হয়ে পুলিশ বললো, ‘তুমি আমাকে টেলিগ্রাম করলে না কেন? আমি সাথে সাথে এসে তোমাকে বিয়ে করে ফেলতাম!’

প্রেমিকা মাথা নাড়লো। ‘উঁহু। বাবা রাজি হলো না। বললো, পরিবারে একটা বেজন্মাই যথেষ্ঠ।’

ইন্টারকম থেকে হাতটা সরায়

প্রথম দিন ডেট সেরে বান্ধবীকে রাতের বেলা বাড়ি পৌঁছে দিতে এসেছে বাবু। দরজার পাশে দেয়ালে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো সে, ‘সোনা, একটা চুমো খেতে দাও আমাকে।’

‘কী? তুমি পাগল হলে? এখানে দাঁড়িয়ে  না না না!’

‘আরে কেউ দেখবে না। এসো, একটা চুমো।’

‘না না, খুব ঝামেলা হবে কেউ দেখে ফেললে।’

‘আরে জলদি করে খাবো, কে দেখবে?’

‘না না, কক্ষণো এভাবে আমি চুমো খেতে পারবো না।’

‘আরে এসো তো, আমি জানি তুমিও চাইছো — খামোকা এমন করে না লক্ষ্মী!’

এমন সময় দরজা খুলে গেলো, বান্ধবীর ছোট বোন ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। চোখ ডলতে ডলতে সে বললো, ‘আপু, বাবা বলেছে, হয় তুমি চুমো খাও, নয়তো আমি চুমো খাই, নয়তো বাবা নিজেই নিচে নেমে এসে লোকটাকে চুমো খাবে — কিন্তু তোমার বন্ধু যাতে আল্লার ওয়াস্তে ইন্টারকম থেকে হাতটা সরায়।’